শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মীর কাশেমের অর্থ আত্মস্বাৎ মামলা : বাদিসহ তিনজনকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারম্যান মীর কাশেম আলীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ মামলার তদন্তে বাদীসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক বেনজীর আহমেদ গতকাল (সোমবার) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তদন্তের প্রয়োজনে সাক্ষী হিসেবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন- মামলার বাদী আশরাফুল হক, সাক্ষী আবুল কালাম আজাদ ও আতিকুল ইসলাম।
ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল নির্মাণে গঠিত ১৪ সদস্যের কমিটির একজন হেরিটেজ এক্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান আশরাফুল হক মামলাটি দায়ের করেছিলেন। গত মাসের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন তিনি। পরে দায়ের হওয়া মামলা তদন্তের জন্য দুদকে আসে।
মামলার আসামিরা হলেন- মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মীর কাশেম আলী, মাওলানা আব্দুস সোবহান, ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা আনোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ইস্কান্দার আলী খান, নির্বাহী পরিচালক মো. ফজলুর রহমান, মো. দাউদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল হাই, লুৎফুননেসা ও ড্রিম ভিউ ক্যাবল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান মো. সুলতানউজ্জামান।
মামলায় বলা হয়, ২০০৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দিগন্ত মিডিয়া নামে একটি কোম্পানি উন্মোচনের সময় আসামিদের সাথে বাদীর পরিচয় হয়। তারই সূত্র ধরে ২০১০ সালে মীর কাশেম আলী তাকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল নির্মাণে প্রলুব্ধ করেন। এরপর তাকেসহ ১৪ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়। এরপর ফাউন্ডেশনের অধীন ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের জন্য জমি ক্রয়ের প্রস্তাব গৃহীত হয়। জমি ক্রয়ের জন্য ফাউন্ডেশন থেকে টাকা না দিয়ে মীর কাশেম আলী বাদীকে জমি ক্রয়ের জন্য টাকা দিতে প্রলুব্ধ করেন। বিনিময়ে তাকে হাসপাতালের শেয়ার দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। সেই মোতাবেক বাদী আশরাফুল হক জমি কিনতে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা দেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, জমি কিনতে তার কাছ থেকে ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা নেয়া হলেও মাত্র ৫২ লাখ টাকায় জমি কিনে বাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। বিষয়টি তিনি জানার পর টাকার জন্য চাপ দিলে তাকে টাকার সমমূল্যের হাসপাতালের শেয়ার দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়। কিন্তু তাকে শেয়ার দেয়া হচ্ছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন