স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাসপোর্ট দালাল চক্রের ১০ সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর আগে র্যাব তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছে। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মো. কিবরিয়া সাজু (৫৯), আবদুল করিম (২১), মো. রুবেল হোসেন (২৫), নুর হোসেন (৩০), মো. আলম (৪৪), মো. আওলাদ (৫০), ওয়াহিদ হোসেন (৩৬), মো. খোকন (৩২), মো. মানিক (৪০), মো. মাইন উদ্দিন (২৭)।
গতকাল সোমবার দুপুরে র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক মেজর মুশফিকুল হক এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুন্সির নেতৃত্বে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এর পরিচালনায় একটি বিশেষ দল আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এ সময় পাসপোর্ট দালাল চক্রের ওই ১০ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন আসামীদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- প্রদান করেন।
র্যাব জানায়, সম্প্রতি সংঘবদ্ধ একটি দালাল চক্র আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সামনে এবং পার্শ্ববর্তী সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার লাইনে দাঁড়ানো পাসপোর্ট প্রার্থীদের ফরম পূরণ, ফরম সত্যায়ন, ব্যাংকে ফি জমা, কাগজপত্র ঘাটতি, ভুল বা ভুয়া কাগজপত্র, এমনকি ২ থেকে ৬ হাজার টাকায় ভেরিফিকেশন ছাড়া অতি দ্রুত পাসপোর্ট তৈরির সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেয়ার জন্য প্রলুব্ধ করে। আর পাসপোর্ট প্রার্থীগণ তাদের প্রতারণায় রাজি না হওয়া পর্যন্ত নানাভাবে বিরক্ত করতেই থাকে।
অল্প সময়ে পাসপোর্ট করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। আবার কখনো কখনো অনেক হয়রানির পর পাসপোর্ট প্রদান। এসব ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হওয়ার পরও চক্রটি গণউপদ্রব চালাতে থাকে।
উক্ত বিজ্ঞপ্তিটি নোটিশ বোর্ড ছাড়াও মাইকিং করে দালালদের উপদ্রব সৃষ্টিকারীদের সতর্ক করা হয়। উপরোক্ত এসব সতর্কীকরণ পদক্ষেপ গ্রহণের পরেও দালাল চক্রের উপদ্রবে সাধারণ মানুষের হয়রানি বন্ধ না হওয়ায় র্যাব-২ নিয়মিত গোয়েন্দা কার্যক্রম চালায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন