প্র:- নামাযের ভিতর কোরআন তিলাওয়াত কালে কোন ধরনের ভুল হলে নামায ফাসিদ হয়ে যায়?
উ:- কোরআন তিলাওয়াতের ভুল কয়েক ধরনের হতে পারে।
১. হরকতের ভুলÑযেমন, যবর-এর জায়গায় যের ও যের-এর জায়গায় পেশ, সাকিন-এর জায়গায় মুশাদ্দাদ এবং মাদ বা দীর্ঘস্বরের জায়গায় হ্রসস্বর পড়া। ২. শব্দ বা অক্ষর বদলের ভুল। যেমন এক অক্ষরের স্থলে অন্য অক্ষর বা এক শব্দের স্থলে অন্য শব্দ পড়া। ৩. ওয়াক্ফ বা বিরতির ক্ষেত্রে ভুল। যেমনÑ যেখানে বিরতির নির্দেশ রয়েছে, সেখানে বিরতি না দেয়া। আবার যেখানে বিরতির কোন সুযোগ নেই, সেখানে বিরতি দেয়া। উল্লেখিত ভুলসমূহের কোন একটার দরুন আয়াতের অর্থের মধ্যে যদি বড় ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয় অথবা আকীদাগত কোন বৈপরীত্য দেখা দেয়, তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
প্র:- আমলে কাছীর কাকে বলে?
উ:- নামাযের মধ্যে যে সকল কাজ করলে দূর থেকে কেউ দেখে একথা মনে করে যে, এই লোক নামাযের মধ্যে নেই, সে কাজকে আমলে কাছীর বলে। ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক নামায সংশোধনের প্রয়োজন ছাড়া আমলে কাছীর করলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। নামাযের সংশোধনÑযেমন, ওযু ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে নামাযের মধ্যেই ওযু করতে যাওয়াÑআমলে কাছীর হলেও এতে নামাযের ক্ষতি হবে না। (দুররে মোখতার)
-মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন