স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এক আসামিকে থানা থেকে কোর্টে আনার সময় লোহার ব্রিজে আসার পরই ওই আসামি হ্যান্ডকাপসহ ঝাঁপ দিয়ে পানিতে পড়েছে বলে গুজব রটেছে। গতকাল দিনভর এমন গুজব ছিল। তবে কামরাঙ্গীরচর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মহসিন আলম তা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ গুজব। তিনি বলেন, লোহারপুল এলাকার এসএম প্লাস্টিক কারখানার শাকিল (১৭) নামের এক শ্রমিককে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার বাবার নাম ছোটন মিয়া। সে পানিতে ঝাঁপ দিতে পারে বা কেউ তাকে ফেলে দিতে পারে এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই এ ধরনের গুজব রটানো হয়েছে। কোন আসামি পালিয়ে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
তবে স্থানীয়রা জানান, ওই আসামি নিখোঁজ রযেছে। গতকাল বুধবার বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় পানিতে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে যাওয়া আসামিকে দেখতে ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় জমায়।
কামরাঙ্গীরচর থানার পুলিশ জানায়, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। এটা পুরোপুরি গুজব। আসামীকে আদালতে নেয়ার সময় প্রিজনভ্যানে থাকে এবং হ্যান্ডক্যাপ পড়ানো থাকে। এ অবস্থায় লাফ দিয়ে পানিতে পড়ার কোন সুযোগই নেই। ওই এলাকায় এক কিশোর গত কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে এবং প্রেমঘটিত কারণে সে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে উদ্ধারে জন্য ডুবুরি নিয়ে তল্লাশি চালায়। কিন্তু সেখানে কোন লাশ বা কাউকে পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার মিজানুর রহমান জানান, সকাল ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ডুবুরিরা সেখানে কিছু পায়নি। লোহারপুলের নীচের খালে তেমন পানিও নেই। লাশ থাকলে অবশ্যই পাওয়া যেত। তিনি বলেন, শুনেছি ওই এলাকার শাকিল নামের এক কিশোরকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের অভিযোগ তাকে মেরে কেউ হয়তো সেখানে ফেলে দিতে পারে। তবে লাশ না পাওয়াতে এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন