শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ধলেশ্বরীতে ট্রলারডুবিতে ৬ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু : লাশ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীতে বালুবাহী একটি ট্রলারের (বাল্কহেড) ধাক্কায় অপর একটি ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ৬ জনের লাশ ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের গোগনগরে ধলেশ্বরী নদীতে ওই ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটির নাম এমভি রহমত উল্লাহ এক্সপ্রেস। দুপুরে ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে ঢাকামুখী খালি একটি বাল্কহেড ঘূর্ণিঝড়ের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিভর্তি এমভি রহমত উল্লাহকে ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়। ওই সময় ট্রলারে থাকা ৩০ শ্রমিকের মধ্যে ২৪ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ট্রলারের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা ৬ শ্রমিক কিছুই টের পাননি। ওই ৬ জনই নিখোঁজ রয়েছে বলে বেঁচে যাওয়া শ্রমিকরা জানিয়েছেন।

খবর পেয়ে দুপুর ৩টায় ঢাকার সদরঘাট থেকে ফায়ার সার্ভিসের একদল ডুবুরী ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। গতকাল বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া বাল্কহেড উদ্ধার করতে পারেনি তবে বিকালে নিখোঁজ ৬ শ্রমিকের মধ্যে আবু তালেব নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এদিকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকায় সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বাকি নিখোঁজ ৫ জনের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম উদ্ধারকারী দল। বাল্কহেড ডুবে নিহত শ্রমিকরা হলো আবু তালেব, নিজাম, সুজন, সবুজ, শাহীন, শরীফুল। এদের সবার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়। ডুবে যাওয়া ট্রলারের শ্রমিক সিরাজুল ইসলাম বলেন, তারা ইটভাটার জন্য মাটি নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। দুপুর ১২টা থেকে সোয়া ১২টার মধ্যে হঠাৎ নদীতে ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে তাদের পাশে থাকা ঢাকামুখী অপর একটি খালি বাল্কহেড নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের বাল্কহেডের উপর উঠে যায়। তাদের বাল্কহেডটিতে মাটি ভরাট থাকায় সেটি খালি বাল্কহেডের চাপায় তলিয়ে যায়। ওই সময় তাদের বাল্কহেডের বেশির ভাগ শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ঘুমিয়ে থাকায় বাল্কহেডের ভেতরে যারা ছিল তারা বেরুতে পারেনি।
ফতুল্লার বক্তাবলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুর রাজ্জাক বলেন, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে। দু’টি বাল্কহেডই ঢাকা অভিমুখে ছিল। ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে খালি বাল্কহেডটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটির উপরে উঠে যায়। এতে মাঠি ভরা বাল্কহেডটি ডুবে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল এসে কাজ শুরু করলেও এখনো ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি শনাক্ত করতে পারলেও সেটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি ডুবুরি দল। ফায়ার সার্ভিস এ- সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জের উপ-সহকারী পরিচালক দীনুমনি শর্মা বলেন, নিহত শরিফুল বাদে বাকি ৫ জন নিকট আত্মীয়, নারায়ণগঞ্জে ডুবুরী না থাকায় ঢাকার সদরঘাট থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল এসে উদ্ধার কাজ শুরু করতে হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন