মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন সউদী বাদশাহ সালমান

প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৪৭ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭

আহমদ আতিক : সউদী আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বাংলাদেশে নিযুক্ত মধ্যপ্রাচ্যের একজন ক‚টনীতিক গতকাল বুধবার সউদী বাদশাহর বাংলাদেশ সফরের কথা জানিয়ে বলেন, তিনি চলতি ফেব্রæয়ারি মাসের শেষে অথবা আগামী মার্চ মাসের প্রথমভাগে বাংলাদেশ সফর করতে পারেন। তার এ সফরে দু’দেশের মধ্যে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ এবং অন্যান্য খাতে সহযোগিতার দ্বার উন্মুক্ত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর সউদী বাদশাহর বাংলাদেশ সফরের পর সত্যিকারভাবেই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে সউদী বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের জন্য সেকেন্ড হোম।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী গতকাল বলেন, সকলেই চান সউদী আরবের বাদশা বাংলাদেশ আসুন। সউদী আরবের বাদশা বাংলাদেশ সফরে আসলে সঠিক সময়ে জানানো হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও জানান, সউদী আরবের বাদশাহ’র বাংলাদেশ সফর আমাদের দেশের জন্য একটি বড় সংবাদ। এ সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকসহ বিভিন্নভাবে লাভবান হবে। এখনি এ সফরের দিনক্ষণ বলা যাচ্ছে না। তবে কাজ চলছে। সুবিধাজনক সময়েই তিনি বাংলাদেশে আসবেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরবর্তীত পরিস্থিতিতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সউদী আরবের যে টানাপড়েন চলছে, সেই প্রেক্ষাপটে দেশটি বিনিয়োগ স্থানান্তরের বিষয়ে ভাবছে। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে দেশটি। এ ছাড়া সউদী আরবের নেতৃত্বে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জোটে বাংলাদেশের সমর্থনের কারণেও দেশটির বিনিয়োগে আস্থা যোগাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের জুন মাসে সউদী বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদের আমন্ত্রণে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে সউদী আরবের জেদ্দা যান। সউদী বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ সিংহাসনে আরোহণের পর এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম সউদী আরব সফর। ওই সফরকালেই সউদী বাদশাহকে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের এপ্রিলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করার পর তৎকালীন সউদী বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের আমন্ত্রণে সউদী আরব সফর করেন। প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালের নভেম্বরেও একবার ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সউদী আরব যান।
স্বাধীনতার পর থেকেই সউদী আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সাহায্যকারী-সাহায্য গ্রহীতার। তবে সেই সম্পর্ক পাল্টে যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত বছরের জুনে রাজকীয় আমন্ত্রণে সউদী সফরের পর। তার সফরের পর বাংলাদেশকে এখন আর সউদী কর্তা ও ব্যবসায়ীরা সাহায্যপ্রার্থী দেশ হিসেবে দেখে নাÑ বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগ হাব। দেশটির কাছে বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের লোভনীয় ও নিরাপদ গন্তব্য।
প্রধানমন্ত্রীর ২০১৬ সালের সউদী সফরকালে দেশটিতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার স¤প্রসারণ, দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য, বিভিন্ন প্রকল্পে সউদী সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং হজ ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলো সউদী বাদশাহের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় প্রাধান্য পায়। অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতকালে সউদী বাদশাও বারবার পলিটিক্যাল, স্ট্যাট্রিক ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সউদী নেতৃত্বাধীন ইসলামিক জোটের বিষয়টিও উঠে আসে বৈঠকে। জোটে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বাদশা বলেন, এতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সউদী আরব খুবই গুরুত্ব দেয়। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে একটা সুন্দর সম্পর্কও তৈরি হবে।
সেই সফরের ফলে এবং সরকারের ব্যাপক ক‚টনৈতিক তৎপরতার ফলে বাংলাদেশের বিনিয়োগ বাজারে নতুন প্রতিযোগী হিসেবে চীন, ইউরোপীয় দেশসমূহ ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগ দিয়েছে সউদী আরব। দেশটির শীর্ষ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সরকারি কর্তাব্যক্তিরা ঘন ঘন আসা-যাওয়া করছেন বিনিয়োগের প্রক্রিয়া করতে। এক প্রকার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে অন্য দেশগুলোর সঙ্গেÑ কত আগে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে তা নিয়ে। বন্ধুপ্রতিম দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমানে যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পাঁচ থেকে সাত বিলিয়ন ডলারের সউদী বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আর সউদী বাদশাহর আসন্ন বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়েই এসব বিষয় আরো পূর্ণতা পাবে।
সউদী আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোম্পানি আল রাজি থেকে শুরু করে শীর্ষ ব্যবসায়ী গ্রæপ আল জামিল, আল বাওয়ানি, আল ফানারসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের এখন বিনিয়োগ গন্তব্য বাংলাদেশ। কোম্পানিগুলোর কর্তাব্যক্তিরা নিয়মিত ঢাকা সফর করছেন, স্বাক্ষর করছেন একের পর এক সমঝোতা স্মারক। সউদী বিনিয়োগ আগ্রহে উৎফুল্ল বাংলাদেশ সরকারও। ইতোমধ্যে দেশটির বিনিয়োগকারীদের জন্য রিয়াদস্থ দূতাবাসের মাধ্যমে দু’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। এর একটি চট্টগ্রামের মিরেরসরাইয়ে; অন্যটি গাজীপুরে। কোথায় অর্থনৈতিক অঞ্চল নেবে তা দেশটির কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করলেই স্বাক্ষর হবে সমঝোতা স্মারক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (21)
shamsulhoque ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১:১০ এএম says : 0
well come your highness
Total Reply(1)
arif rafi ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ৬:২০ এএম says : 4
Do not expect anything from Saudi King. They are desperate to find friends. Saudis call our Bangladeshi workers Miskins.
ইয়াকুব বিন আবদুল আজিজ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ২:০২ এএম says : 1
এটা আমাদের জন্য ভালো সংবাদ,দেখাযাক বাদসা আসারপর আমাদের সরকারের সাথে কি কি চুক্তিহয়।
Total Reply(0)
Iqbal Hossain ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:২১ পিএম says : 0
নিউজটা কতটুকু সত্য তা জানিনা, তবে যদি সত্য হয় তাহলে অামি বলবো এটি একটি ঐতিহাসিক সফর
Total Reply(0)
Ruman Khadem ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:২৩ পিএম says : 1
আমারা সৌদি প্রবাসীরা এ সফর নিয়ে অনেক আশা বাদী ও খুশি।আশা করি আমাদের সরকার সৌদি প্রবাসীদের যে যে সুবিদা অসুবিদা আছে সৌদি বাদশাকে খুলে বলবে। এবং আমাদের দেশ ও জনগনের উপকার আসে সে রকম চুক্তি করবে।
Total Reply(0)
Ahmed Rahman ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:২৪ পিএম says : 1
এই ভাবে আমিরাত সরকার কে কি দাওয়াত দিয়ে আমরা আমিরাত প্রবাসী দের সমস্যা দূর করার জুর দাবি যানাছিচ
Total Reply(0)
Salam Babul ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:২৪ পিএম says : 1
সুস্বাগতম,হে মহান বাদশা।সরকারের কাছে বিনীত অনুরুধ সৌদিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদর সমস্যার কথাগুলো তুলে ধরে,সমাধান করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন।
Total Reply(0)
Shahjalal Babu ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:২৬ পিএম says : 2
আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো খবর..
Total Reply(0)
Khairul Islam Sazal ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:২৬ পিএম says : 1
আহলান ওয়া সাহলান খাদেম আল হারামাইন ও শরীফাইন ....
Total Reply(0)
Shamsul Haq ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:২৭ পিএম says : 0
বাংলাদেশে স্বাগতম সউদি বাদশা সালমানকে ।
Total Reply(0)
Chowdhury Rabiul Kaosar ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:২৯ পিএম says : 0
MashaAllah,welcome king Salman in my motherland.
Total Reply(0)
Al Amin Khan ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:২৯ পিএম says : 0
সাদর সম্ভাসন। বাদশাহ সালমানকে।
Total Reply(1)
shaukaut ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১১:০০ পিএম says : 4
khub vhalo dhonnobad
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ৫:০৯ পিএম says : 1
খুশি হইলাম
Total Reply(0)
Md.Nur Hossain Chy. ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ৬:১১ পিএম says : 0
Well come king of KSA.
Total Reply(0)
ওবাইদুল ইসলাম ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ৯:৪৮ পিএম says : 1
মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশগুলি উন্নত দেশগুলিতে তাদের অর্থ বিনিয়োগ করে এবং অস্ত্র কিনার নাম করে ব্যাক্তিগত অর্থ পাচার করে । অথচ একজন সঠিক মুসলমান দরিদ্র মুসলমানদের পাশে দাঁড়াবে এটাই ছিল ইসলামের শিক্ষা ।
Total Reply(0)
ibrahim khalil ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১০:০৭ পিএম says : 1
নিসন্দেহে এটা ভালো খবর
Total Reply(0)
এস, আনোয়ার ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ৮:৩৭ এএম says : 0
মাশা আল্লাহ্, তাবারাক আল্লাহ্ ওয়া মারহাবান বিকুম। জাঁহাপনা আওনের সময় দয়া পরবশ হইয়া আমাগো লাইগা খালি কয়খান ভিসা আনলেই হয়। আর কিছু লাগবো না।
Total Reply(0)
Al ameen ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ৭:০৩ পিএম says : 0
Most wellcome your highness
Total Reply(0)
Moshiur RAHMAN ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১:৪০ এএম says : 1
Really it is very good news for all of us.......good luck for both countries. ....
Total Reply(0)
মো : আবুল মনছুর ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১০:৪৩ পিএম says : 0
সৌদিআরব এর বাদশাহ বা;লাদেশে আগমন এটা সুফল বয়ে আনবে আশা করি
Total Reply(0)
palash miah ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ৬:৩৪ পিএম says : 0
BANGLADESH FOR GOOD NEWS COMEING SOON .....KSA PRIME MINISTER
Total Reply(0)
md. mahbubul haque ২৯ মে, ২০১৭, ১১:১৯ এএম says : 0
হে মহান অতিথি, আপনাকে আমরা মন থেকে বরণ করে নিতে চাই। আপনি আসুন এবং আমাদের দেশে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান তথা শরীয়তপুর-চাঁদপুরে (নির্মিয়মান পদ্মা ব্রীজের ন্যায়) ট্রেন চলাচলের সুবিধাসহ মেঘনা ব্রীজটি দ্রুত তৈরি করার যাবতীয় ব্যয় বহন করে আপনার উদারতা প্রকাশ করুন। কারণ, বহুকাল আগে থেকেই আপনার দেশের জনগণ ও শাসকবর্গ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে সাহায্য ও সহযোগিতার পাশাপাশি আমাদের দেশেও বিভিন্নভাবে ও খাতে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে। এছাড়া, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আপনি ১২০ কোটি ডলারের উপহার দিয়েছেন। আমেরিকার সাথে আপনি ১১,০০০ কোটি ডলারের অস্ত্রচুক্তি করে তাঁদের কোম্পানীকে মুনাফার ব্যবস্থা করে সে দেশের অর্থনীতি এক প্রকার মজবুত করার বন্দোবস্ত করেছেন। আর এসব অস্ত্র প্রাপ্তির পর যেগুলি পরীক্ষা করা হবে সেগুলি এক মিনিটেই ধ্বংস হয়ে যাবে অর্থাৎ কোটি ডলার মূহুর্তেই নষ্ট/শেষ হয়ে যাবে। আর এসব অস্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যান্য খরচতো আছেই। আপনি আমাদের দেশের আলোচ্য স্থানে অর্থাৎ মুসলিম প্রধান দেশে আলোচ্য মেঘনা ব্রীজটি (রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ) দ্রুত তৈরি করার ব্যবস্থা করলে আপনার এ মহৎ কর্মের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশ তথা এ পৃথিবীতে স্মরণীয়-বরণীয় থাকবেন। এদেশের মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় চিরকাল বেঁচে থাকবেন। জনগণ আপনার এই অবদান শ্রদ্ধাভরে আজীবন মনে রাখবে। কারণ, এই স্থাপনা তথা মেঘনা ব্রীজ বহু বছর টিকে থাকবে। সময় অনন্ত, জীবন সংক্ষিপ্ত। মানুষের দেহ নশ্বর কিন্তু কীর্তি অবিনশ্বর। আর কীর্তিমানের মৃত্যু নাই।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন