প্র:- ইমামতের জন্যে কাকে প্রাধান্য দেয়া হবে?
উ:- নির্দিষ্ট ইমামের অবর্তমানে উপস্থিত লোকদের মধ্য হতে যে পরহেজগার ব্যক্তি নামাযের মাসআলা-মাসায়েল বেশি জানেন এবং ভালো তিলাওয়াত করতে পারেন তাকে ইমামতের দায়িত্ব দেয়া হবে। এ বিষয়ে দু’জন সমান পারদর্শী হলে, যে বেশি হাদীস জানেন তাকে প্রাধান্য দেয়া হবে। হাদীসের উপরও দু’জনের সমান দক্ষতা থাকলে, যে বেশি খোদাভীরু-পরহেযগার তাকে প্রাধান্য দেয়া হবে। এ বিষয়েও দু’জন সমান হয়ে গেলে, যার বয়স বেশি তাকে প্রাধান্য দেয়া হবে।
প্র:- অনেক সময়ই উপযুক্ত ইমাম পাওয়া যায় না। এমতাবস্থ্ায় কি জামাআত বাদ দিয়ে দেয়া যাবে?
উ:- না, আহলে-সুন্নত ওয়াল জামাআতের আকীদানুযায়ী যোগ্য ইমামের অনুপস্থিতিতে ফাসিক-ফাজির-এর পিছনেও নামায আদায় হয়ে যাবে।
প্র:- জামাআতে নামায আদায়ের হিকমত-বরকত ও ফযীলত কি?
উ:- ১. একা নামায পড়ার চেয়ে জামাআতে নামায পড়াতে সাতাশ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। ২. মসজিদে যাওয়ার অন্যান্য ফযীলতসমূহ লাভ করা যায়। ৩. মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনা সংহত হয়। ৪. সাধারণ মানুষের আলেমের কাছ থেকে নানা বিষয় জানার সুযোগ হয়। ৫. এলাকাবাসীর সমস্যাদি নিয়ে আলোচনা করা যায়। ৬. পরস্পরের খোঁজখবর নেয়া যায়। ৭. নামাযে ঠিকমত মনোনিবেশ করা যায়। ইত্যাদি।
-মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন