স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকা থেকে ফরহাদ হোসেন (৩৫) নামে এক তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গত বুধবার রাতে র্যাব-১০-এর একটি দল শ্যামপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। ফরহাদ গ্রেফতার হওয়ায় শ্যামপুর এলাকার বাসিন্দারা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে।
র্যাব-১০ এর কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র এএসপি জিল্লুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত ফরহাদের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ফরহাদ শ্যামপুর এলাকার সবচেয়ে বড় বিল্লালের স্পটের মাদক সরবরাহকারী। ইয়াবা ও প্যাথেড্রিন সরবরাহ করতো সে। এ ছাড়া হেরোইন ও ফেনসিডিল বেচাকেনা করতো। এর বাইরে সে চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল। কথায় কথায় মানুষকে হুমকী দিতো। রাতের অন্ধকারে পথরোধ করে ছিনতাই করতো। শ্যামপুর শিল্প এলাকা থেকে ট্রাক ছিনতাইয়েরও রেকর্ড আছে তার। শ্যামপুর এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ফরহাদের অত্যাচারে অনেকেই অতিষ্ঠ ছিল। কিছুৃদিন আগেও সে ৪০ বছর বয়সি এক মহিলাকে বাড়ি ছাড়ার জন্য তাকে শ্লীলতাহানী করার হুমকী দেয়। বলেএর আগেও তাকে গ্রেফতারের দাবি উঠেছিল। র্যাব জানায়, ফরহাদের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা আছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব মামলার মধ্যে হুমায়ুন হত্যা, ইয়াসিন হত্যা, আনিস হত্যা, স্ত্রী লিজা হত্যা মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বাকী মামলাগুলো চুরি, ডাকাতি ও চাঁদাবাজির। ফরহাদের পিতার নাম কানা খালেক। বাসা শ্যামপুরের পালপাড়া।
এদিকে, কুখ্যাত এই সন্ত্রাসী গ্রেফতার হওয়ায় শ্যামপুর এলাকার বাসিন্দারা গতকাল বৃহস্পতিবার আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বার বার গ্রেফতার হওয়ার পরেও ফরহাদ আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসে। এবার র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় সেই সুযোগ আর সে পাবে না বলে তাদের বিশ্বাস। এ কারণে তারা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে। র্যাব-১০ এর ১নং কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র এএসপি জিল্লুর রহমান জানান, ফরহাদের বাসা তেকে ২৭৪ পিস ইয়াবা, ১৫টি প্যাথেড্রিন, ৫টা মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন