মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

হজ নিয়ে কৃত্রিম সংকট বরদাশত করা হবে না : ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : হজ নিয়ে কোনো কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি বরদাশত করা হবে না। কেউ যদি হজ নিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে, তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। হজযাত্রীদের সাথে প্রতারণা করে ধর্মমন্ত্রীকে প্রভাবিত করা যাবে না। অতীতে হজ নিয়ে যারা পাপ করে পার পেয়েছেন এবার আর পার পাবেন না। প্রয়োজনে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব তবু হজযাত্রীদের সাথে প্রতারণা করতে দেয়া হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আশকোনাস্থ হজ অফিসে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ধর্মমন্ত্রী বলেন, আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হবে। হজ ব্যবস্থাপনাকে আরো স্বচ্ছ, জবাবদিহি এবং গতিশীল করার লক্ষ্যে চলতি বছর প্রথমবারের ন্যায়  প্রাক-নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড এ ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার কাজ করছে।  
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত ধর্ম সচিব মোঃ আব্দুল জলিল, পরিচালক হজ (উপ-সচিব ) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, হাবের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম বাহার, ও বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের এম ডি জাহিদুল হাসান মিতুল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিজনেস অটোমেশনের সিও ও সাবেক পরিচালক হজ (উপ-সচিব) বজলুল হক বিশ্বাস। আরো উপস্থিত ছিলেন, ধর্মমন্ত্রী একান্ত সচিব ড. আবু কালাম আজাদ, ধর্মমন্ত্রীর এপিএস শফিকুল ইসলাম শফিক, উপ-সচিব (হজ) মোহাম্মদ জাকের হোছাইন, সহকারী সচিব (হজ) মোঃ শহীদুল্লাহ তালুকদার ও ধর্মমন্ত্রীর পিও আবু সাঈদ।   
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, গত বছর ওমরাহ করতে সউদী আরবে গিয়ে যে এজেন্সি’র একজনও দেশে ফিরে আসেনি তাদেরকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে। বিভিন্ন এজেন্সি ও ব্যক্তিরা আমাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু আমি সন্তুষ্ট হওয়ার মতো মানুষ নই। হজ নিয়ে এবার কোনো ধরনের ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। ধর্মমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনার ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক এক লাখ ৬ হাজার ৫শ ৫০ জন হজযাত্রী পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গতবছর নির্ধারিত কোটার চেয়ে অতিরিক্ত ৫ হাজার বেশি কোটা পাওয়া গিয়েছিল। এ বছরও লক্ষাধিক হজ যাত্রী নিয়ে জাতিকে হজ পালনের ভালো সুযোগ দিতে পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। হজ চুক্তি অনুযায়ী এবার প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে সর্বনি¤œ ১৫০জন হজযাত্রী প্রেরণ করতে হবে। তিনি বলেন, ই-হজ প্রক্রিয়ার সঙ্গে আইটি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, পাসর্পোট, ন্যাশনাল আইডি কার্ড, পুলিশ ভেরিফিকেশনসহ নানা বিষয় সংযুক্ত থাকবে। প্রত্যেক হজ যাত্রী যেনো সহজে ও নির্বিঘেœ হজে যেতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ থাকবে।  
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, গভীর মনোযোগের সঙ্গে এ প্রশিক্ষণটি আপনারা নেবেন। পরে প্রশিক্ষণলব্ধ এ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে হজ যাত্রীদের সঠিক তথ্য ও সহযোগিতা দেবেন। এটাই আমার কাম্য। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত সাত বছরের ন্যায় এ বছরও আমরা হজ ব্যবস্থাপনাকে সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে করতে চাই। এর জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন ধর্মমন্ত্রী। হজ অফিসে কল সেন্টারও ধর্মমন্ত্রী উদ্বোধন করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন