বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

ইসলামী কর্মতৎপরতা : আল-নুর কালচারাল সেন্টার দোহা, কাতার

প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সম্প্রতি কাতারে অনুষ্ঠিত হলো প্রবাসীদের শীতকালীন বনভোজন অনুষ্ঠান। ভেন্যু ছিল রাজধানী দোহার অদূরে শিল্পনগরী মীসাইল পার্ক। এটির আয়োজন করে আল নূর কালচারাল সেন্টার কাতার। প্রবাসী নারী পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের মিলন মেলায় ক্ষণিকের জন্য কাতারের এই পার্ক হয়ে ওঠে মিনি বাংলাদেশ। দিনভর চলে ছাড়া, কবিতা আসর, খেলাধুলা, দল বেঁধে আড্ডা, চা চক্র, সমুদ্র তীর ভ্রমণ। আল নূর কালচারাল সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মাওলানা ইউসুফ নূর বলেন, প্রকৃতি খোদার সেরা দান। প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্য মানবমনকে দেয় অনাবিল আনন্দ ও স্নিগ্ধ শান্তির পরশ। তাই যান্ত্রিক নগরসভ্যতার একঘেয়েমি দূর করার লক্ষ্যে মানুষ ছুটে যায় প্রকৃতির কোলে বা অরণ্যের মাঝে। আর প্রকৃতির নৈসর্গিক ও নয়নাভিরাম দৃশ্যাবলী উপভোগ করে মহান স্রষ্টাকে স্মরণ করা পুণ্যময় ইবাদতও বটে।
গত ২৯ জানুয়ারি রাজধানী দোহার অদূরে শিল্পনগরী মিসাইল পার্কে আল নূর কালচারাল সেন্টারের বনভোজন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন- বনভোজনের মাধ্যমে পারস্পরিক পরিচয় ও সম্পর্ক গড়ে উঠে। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় হয়। কমিউনিটি ও সামাজিক সংহতি প্রতিষ্ঠিত হয় যা ব্যক্তি ও জাতির উন্নয়নের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও বনভোজন নারী-পুরুষের জন্য নির্মল বিনোদন ও শিশু-কিশোরদের জন্য বাড়তি আনন্দের মাধ্যম। আল-নূর কালচারাল সেন্টারের উপদেষ্টা মীর হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রতিটি মানুষই চায় দৈনন্দিন জীবনের কর্মব্যস্ততা থেকে দূরে এসে পরিবারের আপনজনদের সাথে কিছুটা সময় কাটাতে। আজকের বনভোজনের মাধ্যমে আল নূর কালচারাল সেন্টার এই সুযোগ করে দিয়েছে।
আল-নূর কালচারাল সেন্টার এর সহকারী পরিচালক এম এ বাকের বলেন, আল-নূর কালচারাল সেন্টার একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সমাজবান্ধব প্রতিষ্ঠান। একটি সামাজিক কর্মসূচি হিসেবে বনভোজনকে আল-নূর কালচারাল সেন্টার গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আল-নূর কালচারাল সেন্টারের উপদেষ্টা প্রকৌশলী খন্দকার আবু রায়হান বলেন, আল-নূর কালচারাল সেন্টার আয়োজিত বনভোজনে উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। স্বপরিবারে অংশগ্রহণ ও উপভোগের উপযুক্ত আয়োজন এটি। এ ধরনের আয়োজন আরও বেশি হওয়া দরকার। আল-নূর কালচারাল সেন্টারের নির্বাহী সদস্য পেয়ার মুহাম্মদ বলেন, আন্তরিকতার উন্নয়ন ও হৃদ্যতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বনভোজন কার্যকর ভূমিকা রাখে। এখানে সকল ব্যবধান দূরীভূত হয়ে সব প্রাণ হয় একাকার। অপর নির্বাহী সদস্য নাছির উদ্দিন আগামীতে আরও বড় পরিসরে বনভোজন আয়োজনের জন্য আল-নূর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন এবং এতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আল-নূর কালচারাল সেন্টারের নির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর চৌধুরী বনভোজনে স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতার জন্য আল-নূর কালচারাল সেন্টার মহিলা শাখার সকল দায়িত্বশীল ও সদস্যদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাদের একান্ত চেষ্টায় আজকের এই আয়োজন আরও বেশি আনন্দময় হয়েছে। আমি আশা করি আগামীতেও তাদের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। সমাজকল্যাণ বিভাগের সহকারী পরিচালক বেলাল হোসেন শীতকালীন সময়োপযোগী এই আয়োজনের জন্য আল-নূর কালচারাল সেন্টারকে ধন্যবাদ জানান। বনভোজনে আরও উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মুনিরুল হক, মুহাম্মদ ইমরান, মুকুল আজাদ, ইমতিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ। মহিলা সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার শামিমা জাহাঙ্গীর, মাওলানা মাহমুদা সাদিয়া, জনাব নূরুল আমিন, নাফিসা আহসান, শারমিন শাকিল, ফেরদৌসী পেয়ার, রাফিয়া আবু রায়হান, লুতফুন নাহার ইউসুফ প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন