প্র:- অনেক সময়ই উপযুক্ত ইমাম পাওয়া যায় না। এমতাবস্থ্ায় কি জামাআত বাদ দিয়ে দেয়া যাবে?
উ:- না, আহলে-সুন্নত ওয়াল জামাআতের আকীদানুযায়ী যোগ্য ইমামের অনুপস্থিতিতে ফাসিক-ফাজির-এর পিছনেও নামায আদায় হয়ে যাবে।
প্র:- জামাআতে নামায আদায়ের হিকমত-বরকত ও ফযীলত কি?
উ:- ১. একা নামায পড়ার চেয়ে জামাআতে নামায পড়াতে সাতাশ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। ২. মসজিদে যাওয়ার অন্যান্য ফযীলতসমূহ লাভ করা যায়। ৩. মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনা সংহত হয়। ৪. সাধারণ মানুষের আলেমের কাছ থেকে নানা বিষয় জানার সুযোগ হয়। ৫. এলাকাবাসীর সমস্যাদি নিয়ে আলোচনা করা যায়। ৬. পরস্পরের খোঁজখবর নেয়া যায়। ৭. নামাযে ঠিকমত মনোনিবেশ করা যায়। ইত্যাদি।
প্র:- জামাআত হতে হলে কয়জনের উপস্থিতি দরকার?
উ:- পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাযে ইমাম ব্যতীত দুইজন এবং জুমআর নামাযে ইমাম ব্যতীত অন্ততঃ তিনজন উপস্থিত হলে প্রকৃত অর্থে জামাআতের হুকুম প্রযোজ্য হবে।
প্র:- জামাআত কি শুধু মসজিদেই কায়েম হবে নাকি বাড়ী-ঘরে করলেও আদায় হবে?
উ:- বাড়ী-ঘরে করলেও আদায় হবে। তবে এক্ষেত্রে মসজিদের অতিরিক্ত সওয়াব মিলবে না।
-মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন