কর্পোরেট রিপোর্ট : বিনিয়োগে মন্ধাভাবের কারণে কৃষি ঋণে আগ্রহ বেড়েছে ব্যাংকগুলোর। এ কারণে কৃষি খাত ঋণ বিতরণ বেড়েছে। ঋণের চাহিদাও বাড়ছে এ খাতে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে মাত্র ৮৬১ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এর পর থেকে ঋণ বিতরণ বাড়তে থাকে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) কৃষকের ঋণ চাহিদা বেড়েছে। এ সময়ে ব্যাংকগুলো মোট ৮ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ৫৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এ বিতরণ ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি। জানা গেছে, জানুয়ারি থেকে কৃষি ঋণে ২ শতাংশ সুদ কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে এখন কৃষকরা সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ সুদে কৃষিঋণ নিতে পারছেন। আগে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এখাতে ১৩ শতাংশ হারে ঋণ নিয়েছে ব্যাংকগুলো। সুদ হার কমায়ও কৃষি ঋণে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের। চলতি অর্থবছরে কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৪০০ কোটি, যা গত অর্থবছরের চেয়ে সাড়ে ৫ শতাংশ বা ৮৫০ কোটি টাকা বেশি। ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের ন্যূনতম আড়াই শতাংশ কৃষি ও পল্ট্রি খাতে বিতরণ করতে হয়। নতুন ব্যাংকগুলোর জন্য এ হার ৫ শতাংশ। যারা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে না তাদের অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রার অনর্জিত অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে বাধ্যতামূলক জমা করতে হবে। ব্যাংক এ জমার ওপর কোনো সুদ পাবে না। এর আগের অর্থবছরের কৃষি ও পল্ট্রি ঋণ নীতিমালায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ ব্যাংকের অনর্জিত অংশের ওপর ৩ শতাংশ হারে অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে বাধ্যতামূলক জমা রাখার বিধান ছিল। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ ও আর্থিক সেবাভুক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, ব্যাংকগুলো যাতে এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঋণ বিতরণ করে সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নিয়মিত তদারকি অব্যাহত রয়েছে। যেসব ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে না নিয়ম অনুযায়ী তাদের টাকা কেটে রাখা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন