মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, টেকনাফ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকনাফ সাবরাং এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোনসহ সরকারি-বেসরকারি ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করবেন। আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে একযোগে এই অঞ্চলগুলোর উদ্বোধন করা হবে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এসব অঞ্চল বাস্তবায়ন করছে।
সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাংয়ে একটি পর্যটন অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে। কক্সবাজারের সাবরাং ট্যুরিজমের ১ হাজার ১৬৫ একর জমি রয়েছে। এতে চাষযোগ্য ৯১.৬৮ একর, খাস ৯৩৭.৪৬ একর ও বিচ ১৩৫.৭১ একর। এছাড়া অপর অর্থনৈতিক অঞ্চল নাফনদীর বুকে জেগে ওঠা জালিয়ার দ্বীপে ২৭১.৯৩ একর জমি রয়েছে। এতে অত্যাধুনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে জানা গেছে। দেশের পর্যটন শিল্পের প্রতি বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে একাধিক আন্তর্জাতিক মানের হোটেল, কটেজ, বিচ ভিলা, ওয়াটার ভিলা, নাইট ক্লাব, কার পার্কিং, সুইমিংপুল, কনভেনশন হল, বার, অডিটোরিয়াম, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, ক্রাফট মার্কেট, ল্যান্ডস্কেপিংসহ বিভিন্ন পর্যটন সুবিধা থাকবে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোসেন জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত টেকনাফ সাবরাং প্রকল্প এলাকায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টের মাধ্যমে তা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফল করতে স্থানীয় এমপি আব্দুর রহমান বদিসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিউল আলম জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক উদ্বোধন করায় এটির গুরুত্ব যেমন বৃদ্ধি পাবে, কাজের গতিও বেড়ে যাবে।’ এমনকি খুব দ্রুত সময়ে টেকনাফের চেহারা পাল্টে যাবে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে এবং পরবর্তী সময়ে কক্সবাজার সফরকালে সৈকতকে কেন্দ্র করে সব সুযোগ-সুবিধাসমৃদ্ধ একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কক্সবাজার টেকনাফ সাবরাংয়ে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
তবে পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকার সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ২৮ ফেব্রুয়ারি একসাথে টেকনাফ সাবরাং খুরের মুখ ট্যুরিজম পার্কসহ ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ উদ্বোধন করা হবে। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীরা অংশ নেবেন। এর ফলে পাল্টে যাবে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের চেহারা। যুক্ত হবে আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্পের সাথে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন