স্টাফ রিপোর্টার : নিজেদের সাংগঠনিক সংকট আড়াল করতেই সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দোষারোপ করছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে তৃণমূলে নেতৃত্ব তৈরি করার সুযোগ করে দিয়েছেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত আলমগীর কুমকুমের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, সামরিক ছাউনিতে দল গঠন করে এবার দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে, তাদের সঙ্কটটা কোথায়। তৃণমূলে নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপি মনোনয়ন দেয়ার মত নেতৃত্বও খুঁজে পাচ্ছে না। কারণ নেতৃত্ব দেয়ার মত যোগ্য নেতা তৃণমূলে বিএনপি তৈরি করতে পারেনি। ইউপিতে প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না বলেই নিজেদের সাংগঠনিক সংকট আড়াল করার জন্য তারা (বিএনপি) প্রতিদিনই সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে দোষারোপ করছে।
তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, অহেতুক নির্বাচনকে বিতর্কিত না করে তৃণমূলে দল গোছান। নির্বাচনকে বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করবেন না।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে এখনও অনেকে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। অনেকের ফাঁসি হয়েছে। কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী নিজামী এখন কারাগারে মৃত্যুর প্রহর গুণছে। মার্চের আট তারিখে মীর কাশেম আলীর ট্রাইব্যুনালে দেয়া ফাঁসির রায় আপিল বিভাগে বহাল থাকবে এটাই জাতি প্রত্যাশা করে।
তিনি বলেন, একটা বিষয়ে আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। সেটা হলো মীর কাশেম আলী অঢেল সম্পদের মালিক ছিলেন। তাদের বিদেশি লবিস্টও রয়েছে। কাজেই রায় বানচাল করার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হতে পারে। এজন্য দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অভিনেতা ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, অভিনেতা ড্যানি সিডাক, অভিনেত্রী ফাল্গুনি হামিদ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন