ইসলামী ঐক্য আন্দোলন
(১) ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হুসাইন বলেছেন, কুরআন চর্চায় কেবল সমাজকে অধ:পতন থেকে বাঁচাতে পারে। দেশের সামাজিক অবস্থা আইয়্যামে জাহেলিয়াতকেও হার মানাবে। তিনি বলেন, দেশ যখন সরকারের ভাষায় উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে, তখন আমাদেরকে সন্তান হারানো মায়ের, স্বামী হারানো স্ত্রীর, বাবা হারানো সন্তানদের আর্তচিৎকার শুনতে হচ্ছে। কোরআনের জ্ঞান না থাকার কারণে সমাজ আজ অধ:পতনের চরমসীমায় পৌঁছে গেছে, এমন কোনো পাপ নেই যা আমাদের দেশে হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, যে জাতি পাপকে পাপ মনে করে না তাদের পতন অনিবার্য। তিনি ঘরে ঘরে কোরআন চর্চার মাধেমে মাধ্যেমে সমাজ বিপ্লবের আহŸান জানান। তিনি গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর মতিঝিল থানা শাখার দায়িত্বশীলদের বৈঠকে একথা বলেন। থানা শাখার আমির আলহাজ মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন থানা শাখার নায়েবে আমির শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেকুল হাসান প্রমুখ।
(২) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, মানুষের মনগড়া মতবাদ দ্বারা দেশের স্থায়ী শান্তি ও মানবতার কাক্সিক্ষত মুক্তি সম্ভব নয়। মানুষের জ্ঞানে রচিত গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ দ্বারা মানুষের শান্তি আসতে পারে না। শান্তির জন্য প্রয়োজন ইসলামী শাসনের। কারণ ইসলাম যারা মেনেছেন তারা কখনো অন্যায় ও মিথ্যার আশ্রয় নেয় না। তাদের দ্বারা দেশের সম্পদও কুক্ষিগত হয় না।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ইসলামী আইনজীবী পরিষদের এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান শেখের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ ডা. মোখতার হোসাইন, মাওলানা আবু জাফর আহমদ উল্লাহ, আলহাজ রফিক উদ্দীন আহমদ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ও আলহাজ মোহা. আমিনুল ইসলাম, অ্যাড. হুমায়ুন কবির, অ্যাড. আব্দুল মতিন, অ্যাড. মুহিব্বুল্লাহ, অ্যাড. সর্দার মোহা. মানিক মিয়া, অ্যাড. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
শায়খুল ইসলাম ইন্টা. জামেয়া
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের সহকারী পরিচালক, বহু গ্রন্থ প্রণেতা মাওলানা শাহ্ নজরুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে এদেশের আলেম-উলামাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বদলীয় মুক্তিসংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি। তিনি ছিলেন উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ ইসলামী বিদ্যাপিট দারুল উলূম দেওবন্দের সূর্য সন্তান। শুধু তিনিই নয়, আলামা মুহাম্মদ উলাহ হাফেজ্জি হুজুর (রহ.) যার দিকনির্দেশনায় এমদাদুল হক আড়াইহাজারী (রহ.) আড়াইহাজার থানার কমান্ডার হয়ে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া ঢাকা আরজাবাদ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা জমিয়ত নেতা আলামা শামছুদ্দিন কাসেমী (রহ.), জমিয়ত নেতা মাওলানা মোস্তফা আযাদ, আলামা কাজী মুতাসিম বিলাহও ছিলেন খলিফায়ে মাদানী আলামা লুৎপুর রহমান বর্ণভী (রহ.)’র বাড়ীতে অনেক মুক্তিযোদ্ধারা রাত্রীযাপন করেছিলেন, অনেক হিন্দু পরিবারকে তিনি আশ্রয় দিয়েছিলেন।
সুতরাং এদেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে আলেমরাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। বর্তমান সরকার এর স্বীকৃতি স্বরূপ মাদানী পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করে। এসব ইতিহাস আজ বর্তমান প্রজন্মকে জানাতে হবে। মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস বর্ণনার মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বাদ সবাইকে আস্বাদন করতে হবে।
সম্প্রতি নগরীর রায়নগর দর্জিপাড়ায় অবস্থিত শায়খুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল জামেয়ায় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
ছাত্র জমিয়ত সংসদের সভাপতি মাওলানা ওসমান গনির সভাপতিত্বে ও জিএস নাজিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় কুরআন তেলাওয়াত করেন বিশ্বনন্দিত হাফেযে কুরআন আবদুলাহ আল মাহফুজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামেয়ার শিক্ষক ও সিলেট জেলা ছাত্র জমিয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফয়েজ উদ্দিন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামেয়ার শিক্ষক হাফেয মাওলানা মনছুরুল হাসান, হাফেয মাওলানা হাতেম আহমদ, আতিকুর রহমান নগরী প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন