জর্দানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি
ফারহান হাবিব
গত ২০ ফেব্রুয়ারি ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত বাছাই পর্বে সকল প্রতিযোগীকে পরাজিত করে ১ম স্থান অর্জন করে ৪র্থ বারের মত মারকাজুত তাহফিজ থেকে বাংলাদেশের পক্ষে জর্দান আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য জর্দান যাচ্ছে হাফেজ কারী নেছার আহমাদ আন নাছিরী পরিচালিত যাত্রাবাড়ীস্থ বিশ্বসেরা হিফজ মাদরাসা মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ছাত্র হাফেজ ফারহান হাবিব উল্লেখ্য নতুন বছর ২০১৭ সালে বিশ্ব কুরআন তেলাওয়াতের জন্য কুয়েত, ইরান, জর্দানে তিনটি দেশের জন্যই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব লাভ করেছে মারকাজুত তাহফিজের ছাত্রবৃন্দ। এছাড়াও অত্র মাদরাসার ছাত্ররা সৌদিআরবে ৭ বার, মিশরে ৩ বার, আলজেরিয়া ২ বার, লিবিয়া ১ বার, ইরান ৫ বার, কুয়েত ১ বার, কাতার ১ বার, গাম্বিয়া ১ বার, বাহরাইন ১ বার, দুবাই ২ বার ও জর্দানে ৪ বার বিশ্ব কুরআন প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকারকরে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সম্মানকে আলোকিত করেছে এবং জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত এন টিভি, বাংলাভিশন, আর টিভি, মাছরাঙা টিভিসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে মাহে রমজানে প্রচারিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় একাধিকবার ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অর্জন করে আসছে নিয়মিত। বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকাকে বিশ্ব দরবারে সমুজ্জল করায় সৌদি সরকারের পাশাপাশি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন বাংলাদেশে অত্যাধুনিক ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসার রূপকার হাফেজ কারী নেছার আহমাদ আন নাছিরীর ও তার বিশ্ববিজয়ী হাফেজ ছাত্রদের হাতে। বরাবরের মত এবারও যেন বিশ্ব জয় করতে পারে সে জন্য দেশবাসীর কাছে দো’য়া কামনা করছি। আপনার সন্তানকে বিশ্বজয়ী হাফেজ হিসেবে গড়ে তুলতে যোগাযোগ করতে পারেন-০১৭১২০৫৪৭৬৩।
নেজামে ইসলাম পার্টি
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি জননেতা আল্লামা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী এক বিৃবতিতে বলেছেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে কোরআনের কোন সম্পর্ক ছিল না। ডা. কালিদাস বৈদ্য তার ‘বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে অন্তরালের শেখ মুজিব’ বইয়ে সূরা তওবার ৫নং আয়াত, সূরা নিসার ৮৯ নং আয়াত, সূর আনফালের ৩৯ নং আয়াত, সূরা মোহাম্মদ এর ৪নং আয়াতের অপব্যাখ্যা করে বলেছেন যে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এ দেশের মুসলমানরা আল্লাহর হুকুম হিসেবে এই আয়াতগুলি তামিল করতে গিয়ে ত্রিশ লক্ষ হিন্দুকে হত্যা করেছে, হিন্দুদের বাড়িঘর লুণ্ঠনের পর তা জ্বালিয়ে দিয়েছে, হিন্দু নারীদের নির্যাতনের পর ধর্ষণ করেছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ হিন্দু হত্যা হয়নি, পবিত্র কোরআনের আয়াতে দোহাই দিয়ে কোন হিন্দু নারীকে ধর্ষণ করা হয়নি বা হিন্দুদের বাড়িঘর লুণ্ঠনের পর তা জ্বালিয়ে দেয়া হয়নি। এসব কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। কোরআনের আয়াত ১৯৭১ সালে হিন্দুদের হত্যা তাদের বাড়িঘর লুণ্ঠন বা হিন্দু নারীদের ধর্ষণের জন্য নাজিল হয়নি।
বিবৃতিতে মুফতি ইজহার আরো বলেন, বাবু কালিদাস বৈদ্যের ‘বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে অন্তরালে শেখ মুজিব’ বইয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট, সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে বিধয়া বইটি নিজ দায়িত্বে সংগ্রহ করে প্রত্যেক বিবেকবান মানুষের পড়া উচিত। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নিজেরও পড়া উচিত এবং সরকারকে এর একটা সুন্দর সহনশীল ব্যাখ্যা দেয়া উচিত। মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ সকল সম্প্রদায়ের লোকের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য সভা-সমাবেশ, আলোচনা সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামসহ সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো উচিত। কারণ বইটি ইন্টারনেট, ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বইটি এখন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের জাতীয়তাবাদী বয়ান হিসেবে দেশের প্রত্যেক এলাকায় ও বিদেশে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
বিবৃতি মুফতি ইজহার আরো বলেন, বাংলাদেশের আলেম ওলামা পীর মাশায়েখ মসজিদের ইমাম, খতিবসহ প্রত্যেক মুসলমানের উচিত ও ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে এই আয়াতগুলির অপব্যাখ্যা দ্বারা যাতে কোনো রূপ বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আয়াতসমূহের সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরে জনগণকে সচেতন করা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন