আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির মধ্যে চলছে ভাঙা-গড়ার রাজনীতি। একাধিক হত্যা মামলার আসামিকে কেসিসি’র মেয়র প্রার্থী ঘোষণার প্রতিবাদে গত সোমবার রাতে নগর জাতীয় পার্টির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা পদত্যাগ করেন।
এ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার আসন্ন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সদ্য যোগদানকারী মুশফিকুর রহমানকে পার্টির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এরশাদ বলেন, জাপার নির্বাচনী প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে খুলনা থেকে ছয়জনের নামের তালিকা পাওয়া গেছে। যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদের নাম প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হবে।
এইচএম এরশাদ অভিযোগ করে বলেছেন, বিএনপি তাদের ওপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার চালিয়ে ছিল। তার প্রতিফলন এখন তারা পাচ্ছে। বিএনপিকে এখন প্রেস রিলিজ ও ফেসবুক নির্ভর দল হিসেবে মন্তব্য করে এরশাদ বলেন, ২৬ বছর তিনি ক্ষমতার বাইরে ছিলেন। তার মধ্যে ছয় বছর তাকে জেলে থাকতে হয়েছে। নিবাচনে অংশ নিতে দেয়া হয়নি। সেই জাতীয় পার্টি আর আজকের পার্টির মধ্যে অনেক ফারাক। জাতীয় পার্টি এখন রাজনীতিতে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেসিসি নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-আহŸায়ক সৈয়দ খায়রুল ইসলাম। আসন্ন কেসিসি নির্বাচনে জাপা’র মনোনীত মেয়র প্রার্থী এসএম মুশফিকুর রহমানের নির্বাচনী কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন কেক কাটার মধ্যদিয়ে ঘোষণা করা হয়।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্টির মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার এমপি, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব ও জেলা সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম মধু, পার্টির কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা মুজিবর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কেসিসি নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব তৈমুর হোসেন শাহীন। এছাড়া প্রেসিডিয়াম সদস্য, সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিন শতাধিক নেতাকর্মীর পদত্যাগ : দলীয় কর্মকাÐে ক্ষুব্ধ হয়ে খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতি শেখ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম ও যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক গাউসুল আজমের নেতৃত্বে তিনশতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগ করেন। গত সোমবার রাতে পত্রিকায় বিবৃতির মাধ্যমে তারা পদত্যাগ করেন। পার্টিতে নব্য যোগ দেয়া এসএম মুশফিকুর রহমানকে কেসিসির মেয়র প্রার্থী হিসেবে সমর্থনের প্রতিবাদে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেন। এসএম মুশফিকুর রহমান নগর জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা শেখ আবুল কাশেম এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কেসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ঘোষিত প্রার্থী এসএম এ রব হত্যা মামলার আসামি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন