শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে

| প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আবারো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াঙ্গি লি। মিয়ানমার সরকার হয়তো দেশটির ভূখন্ড থেকে সব আদিবাসী রোহিঙ্গাকে বের করে দিতে চাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে দেয়া ভাষণে এই কথা বলেন লি। তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার থেকে সব রোহিঙ্গাকে বের করে দেয়ার লক্ষ্যেই হয়ত তাদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ নির্যাতন এবং ভয়াবহ সহিংসতা চালানো হচ্ছে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর অত্যাচারের ঘটনার পর লি দুই দফা মিয়ানমার সফর করেছেন। তিনি বলেন, ঘরে ঘরে তল্লাশির নামে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জীবন বিষিয়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া গোলযোগপূর্ণ রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দেয়ার তৎপরতা অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে সংস্থাটির এই দূত বলেন, এসব তথ্য থেকে বোঝা যায়, সরকার সম্ভবত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে একসঙ্গে দেশ দেশ থেকে বের করে দিতে চাচ্ছে। প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। ২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় শতাধিক নিহতের পরে এটেই সবচেয়ে বড় সহিংসতার ঘটনা। মিয়ানমারের ইতিহাসে ২৫ বছর পর প্রথম কোনো গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ক্ষমতায় আসে দেশটির গণতন্ত্রপন্থি এবং শান্তিতে নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। ধারণা করা হয়েছিল, তার দল ক্ষমতায় এলে রোহিঙ্গাদের অবস্থার উন্নতি হবে। কিন্তু রাখাইন অঞ্চলে সেনা অভিযানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সেনাদের পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন তিনি। এতে সমালোচিত হয়েছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। সামরিক বাহিনীর অভিযানের প্রেক্ষপটে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন অন্তত ৭০ হাজার রোহিঙ্গা। এখানকার রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ভয়াবহ নির্যাতনের কথা জানান সম্প্রদায়টির পালিয়ে আসা সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে, গুলি করে হত্যা করেছে, শিশুদের ওপর নির্যাতন করেছে এবং তরুণীদের ধর্ষণ করেছে। পরে স্যাটেলাইট থেকে ধারণকৃত বিভিন্ন ছবিতে জ্বালিয়ে দেয়ার তথ্য পাওয়া যায়। যদিও তা অস্বীকার করে আসছে দেশটির সরকার। দ্য গার্ডিয়ান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
আরমান ১৬ মার্চ, ২০১৭, ১:২৪ পিএম says : 0
এই খবর আমরা জানি। আপনার পারলে কোন পদক্ষেপ নিন।
Total Reply(0)
Bablu Bhuiyan ১৬ মার্চ, ২০১৭, ২:৩৫ পিএম says : 0
সেনা বাহিনী পাঠানো হোক,মিয়ানমারে
Total Reply(0)
Md Anwer ১৬ মার্চ, ২০১৭, ২:৩৬ পিএম says : 0
Yes
Total Reply(1)
miah ১৬ মার্চ, ২০১৭, ৬:৪০ পিএম says : 4
Arakan was a freedom state. back to them, their own humanity right. Burmis is doing the crime againest the humanity.

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন