ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ঐতিহাসিক পালাবদলের কথা জানিয়েছে সউদি আরব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সউদি আরবের ডেপুটি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের বৈঠকের পর দেশটি এ কথা জানিয়েছে। হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সউদি আরবের ডেপুটি যুবরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মাদ বিন সালমানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সউদি ডেপুটি যুবরাজের এক ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক মতান্তরের একটি কাল দেখেছে। তবে মঙ্গলবারের বৈঠক সবকিছুকে সঠিক স্থানে এনে দিয়েছে। এ বৈঠকে রাজনৈতিক, সামরিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পালাবদলের সূচনা হয়েছে। সউদি ডেপুটি যুবরাজের উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র-সউদি আরব সম্পর্ক গভীর অনুধাবনের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেন। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে সউদি আরবের এমন প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নবায়নে সুন্নী দেশগুলোর আগ্রহ প্রকাশ করছে। বিশেষত শিয়া মতাবলম্বী ইরানের সঙ্গে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন ২০১৫ সালে পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষর করায় সুন্নী দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক দূরত্ব সৃষ্টি হয়। ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির ফেলো সাইমন হেন্ডারসন বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিরক্তিকর কিছু উপসর্গ থাকলেও নতুন মার্কিন প্রশাসন সউদি আরবকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং ইতিবাচক সম্পর্কের গুরুত্ববহ দেশ হিসেবে দেখছে। সউদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের ছেলে ডেপুটি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার উপদেষ্টাদের সঙ্গে দ্বিপ্রাহরিক ভোজে মিলিত হন। সাইমন হেন্ডারসন জানান, প্রথমে শুধু ছবির জন্য পোজ দেয়ার পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তীতে দুজনের ভোজসভায় মিলিত হওয়া বাড়তি গুরুত্বের ইঙ্গিত দেয়। ব্লুমবার্গ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন