ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ায় বৃহস্পতিবার রাতভর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। গতকাল ইসরায়েলি বাহিনীর এক বিবৃতিতে এ হামলার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বিমান হামলা চালানোর সময় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। সিরিয়ার সরকারি বাহিনী এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে পাল্টা আঘাতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
সিরিয়ার মাটিতে হামলার কথা বলা হলেও ঠিক কোনো কোনো লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তা জানানো হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র শিয়াপন্থী সংগঠন হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আর সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর দাবি, জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস’কে সহায়তা করতেই সিরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য এসব ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান কিংবা ভূখÐের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ৪০মিনিটে লেবানন হয়ে সিরিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করে ইসরায়েলি বিমান। পালমিরা যাওয়ার পথে তারা একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এ সময় সিরিয়ার সামরিক বাহিনী ইসরায়েলের একটি বিমান ভূপাতিত করে। সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলায় আরেকটি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাকি দুটি পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
এদিকে একইদিন সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত একটি গ্রামের মসজিদে বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। এতে অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। হামলার সময় মসজিদটিতে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করছিলেন। এর একদিন আগে দামেস্কের আদালত প্রাঙ্গণে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন ৩১ জন। সূত্র : আল জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন