শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মানব পাচারের নতুন রুট মিসর ইউরোপে উদ্বেগ বাড়ছে

প্রকাশের সময় : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশঙ্কা ভূমধ্যসাগরীয় মানব পাচারকারী চক্রগুলো মিসর থেকে একটি রুট পুনরুজ্জীবিত করছে। ইইউ কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে লিবিয়া ও তুরস্কে সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় মানব পাচারকারী চক্রগুলো মিসর থেকে হাজার হাজার মানুষকে সাগরে ঠেলে দিচ্ছে।
ইইউ’র একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া বন্দর কেন্দ্রিক মানব পাচারকারী চক্রগুলো প্রায় একবছর নিরব থাকার পর আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা গ্রীস বা ইটালিতে যাওয়ার পথ হিসেবে সিনাইকে রুট হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। মানব পাচার ইস্যূটি আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে এবং এতে ইসলামী জঙ্গীদের নিয়ে ইউরোপে উদ্বেগ বাড়ছে। গত বছর ইউরোপে লাখ লাখ অভিবাসীর আগমন ঘটে। তার একটি ক্ষুদ্র অংশ মিসর হয়ে এসেছিল। অভিবাসীদের ৮০ শতাংশের বেশী আসে তুরস্ক থেকে গ্রীসে। অবশিষ্টদের বেশীরভাগ আসে লিবিয়া থেকে ইটালিতে। মিসর থেকে খুবই কম এসেছিল। অবশ্য এর সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।
ইইউ কর্মকর্তারা বলছেন, তবে লিবিয়ায় নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার অবনতি ঘটায় মানব পাচারকারী চক্রগুলো আফ্রিকান ও মধ্যপ্রাচ্যের শরণার্থী ও অভিবাসীদের ইউরোপে আনতে মিসরীয় উপকূল বেছে নিচ্ছে।
মিসর থেকে সমুদ্র যাত্রা খুবই দীর্ঘ। তবে পাচারকারীরা আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল পথে উদ্বাস্তুদেরএকবার উদ্ধার করা হলে তার ভিত্তিতে লোক গণনা করে থাকে।
তুরস্ক থেকে মানব পাচারের প্রবাহ থামানোর চেষ্টায় তুরস্কের সঙ্গে নাজুক আলোচনায় নিয়োজিত ব্রাসেলস উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে যে মিসর কর্তৃপক্ষ মানব পাচার বন্ধ করছে না। তবে মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান গোলযোগপূর্ণ অঞ্চলের এক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের কারণে আরো কিছু করতে কায়রোর উপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টায় ইইউ সাহায্য ও বাণিজ্যকে ব্যবহার করতেও অনিচ্ছুক।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরেক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের বড় উদ্বেগ যে সিনাই থেকে আগমনকারী পাচারকারী ও অভিবাসীদের মধ্যে আল-কায়েদা বা আইএস’র জঙ্গীরা থাকতে পারে।
মিসরে নিয়ন্ত্রণ কঠোর যাতে মানব পাচারকারীদের তৎপরতা সীমিত থাকার কথা। তবে কখনো কখনো আমাদের সন্দেহ হয় যে মিসর কর্তৃপক্ষ অভিবাসীদের গমনাগমন সম্পর্কে তাদের চোখ বন্ধ করে রাখে বলে মন্তব্য করেন এক ইইউ কর্মকর্তা।
একজন মিসরীয় কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণে সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে কায়রো খুব চাপের মধ্যে রয়েছে। তিনি স্বীকার করেন, মিসরে মানব পাচার বাড়ছে। কর্তৃপক্ষ অন্যান্য ইস্যুর সাথে এই ইস্যুটি নিয়েও কাজ করে যাচ্ছে।
ইইউ’র বৈদেশিক নীতি প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনির মুখপাত্র এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। -সূত্র : রয়টার্স

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন