শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

অ্যাটর্নি জেনারেল ন্যায়বিচার কলুষিত করছেন : রিজভী

প্রকাশের সময় : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার কলুষিত করার অভিযোগ তুলে তার অপসারণ দাবি করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল রোববার বিকালে এক আলোচনা সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেল। বিরোধী দল বিএনপির যে নেতাই জামিন পান, তার বিরুদ্ধে তিনি অ্যাপিলেট ডিভিশনে আপীল করেন। এর আগে কিন্তু এমনটি আমরা দেখিনি। আমরা দেখেছি, নিম্ন আদালত জামিন না দিলে হাইকোর্টের জামিনে আমরা বেরিয়ে পড়তাম। হাইকোর্টের রায় বহালের পরও এটর্নি জেনারেল অফিস থেকে জেলখানায় বলে দেয়া হয়- আমাদের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত আপনারা ছাড়বেন না।
রিজভী আহম্মেদ অভিযোগ করেন, তাহলে এটা কী বলা অন্যায়- যে আপনি আজকে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। আজকে কী এটর্নি জেনারেলের এতো বড় ক্ষমতা? আজকে উচ্চতর আদালতের এই বিষয়টি দেখা উচিৎ, এই বিষয়টি তাদের আমলে নেয়া উচিৎ। কেনো এই ধরণের একজন মানুষ এটর্নি জেনারেল হিসেবে ন্যায় বিচারকে তিনি ক্ষুন্ন করছেন। এদেশের মানুষের শেষ আশা-ভরসার স্থল উচ্চতর আদালত, সেই আদালতকে কলুষিত করছেন এই এটর্নি জেনারেল। এই এটনি জেনারেলকে হয় সরিয়ে দিন, না হয় গ্রেফতার করে না হয় শাস্তি দিন। তা না হলে এদেশের মানুষের গণতন্ত্রের বিরোধী দলের রাজনীতিকে এরা অত্যন্ত কালিমালিপ্ত করবে, এরা ধবংস করার চেষ্টা করবে। সরকারের পক্ষ থেকে এ লোক দেশে গনতন্ত্র হত্যার কাজে সহযোগিতা করছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে কেরানীগঞ্জ দক্ষিন যুব দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে এই আলোচনা সভা হয়।
প্রতিবাদ সভায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, মাননীয় প্রধান বিচারপতি বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই। সত্য কথা তিনি বলেছেন। উচ্চতর আদালতে দেখা উচিৎ, হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্টের দেখা উচিৎ, কেনো নিন্ম আদালতের একজন বিচারক ন্যায় বিচার করতে গিয়ে তারেক রহমানের একটি মামলায় রায় দিতে গিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে কেনো দেশ ছেড়ে, কাদের হুঙ্কারে, কাদের হুমকিতে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্বের সমালোচনা করে তিনি বলেন, একটি অভিনব ঘটনা। ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের নির্বাচনে গতবারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যিনি এখন সিটিং চেয়ারম্যানসহ তার পরিবারের সদস্যদের এবং গতবারের বিএনপি প্রার্থীর ভোটার তালিকায় নাম শম্ভুপুর ইউনিয়ন থেকে চলে গেছে ভোলা সদর ইউনিয়নে। অদ্ভুত।
কারণ এবার যিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি হলেন, তজুমদ্দিন থানার সাংগঠনিক সম্পাদক। তাকে একতরফাভাবে জিতানোর জন্য ওই দুইজন ও তাদের পরিবারের নাম পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে আরেকটি ইউনিয়নে। এইরকম ভুতুড়ে ঘটনা ঘটেছে। এসকল ভয়ংকর ঘটনার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের উচ্চ পর্য়ায়ের কর্মকর্তারা জড়িত নয় কী।
জাতীয় কাউন্সিল প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ১৯ মার্চ বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল। এটি একটি মহাকর্মকা-। যে দল বার বার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, যে দলের কাউন্সিলের স্থান দেয়া হচ্ছে না। সরকার বাঁধা দিচ্ছেন। যেখানে স্থান চাচ্ছি, সেই কর্তৃপক্ষকে সরকার নির্দেশ দিচ্ছেন যেন আমাদেরকে সেই স্থান না দেয়া হয়।এই ধরনের বিভিন্ন কথা আমরা শুনতে পাচ্ছি। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, ১৯ মার্চ ঢাকায় বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল হবে ইনশাল্লাহ, আমরা কাউন্সিল করবোই।
সংগঠনের সভাপতি হাজী মোকাররম হোসেন সাজ্জাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, উলামা দলের সভাপতি হাফেজ আবদুল মালেক, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ বিএনপির আহবায়ক হাজী নাজিমউদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন