ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, মূর্তি অপসংস্কৃৃতি দুটিই ইসলামবিরোধী। মূর্তি অপসংস্কৃতিকে বৈধ মনে করলে ঈমান থাকবে না, মুসলমানিত্ব থাকবে না। তাই সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণ ও অপসংস্কৃতির ধারক জঘন্য ভারতীয় চ্যানেলসহ সকল অশ্লীল ও অবৈধ চ্যানেল বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় মুসলমানরা ঈমান রক্ষার স্বার্থে মূর্তি ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। ইসলাম এসেছে মূর্তির বিরুদ্ধে। রাসূল (সা.) বলেছেন, আমি প্রেরিত হয়েছি মূর্তির বিরুদ্ধে। তিনি আরো বলেন, রাসূল (সা.) বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ আইন প্রণেতা হিসেবে স্বীকৃত। আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের সামনের ফটকে রাসূল (সা.) নাম সর্বশ্রেষ্ঠ আইনপ্রণেতা হিসেবে লিপিবদ্ধ আছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টেও আইনপ্রণেতা রূপে কোনো মূর্তির অবস্থান নেই। কোনো মুসলিম দেশেও এরূপ কোনো নজির নেই। তাহলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনে কেন মূর্তি থাকবে। সুতরাং সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণ করতেই হবে। অন্যথায় জানমাল দিয়ে হলেও ঈমান রক্ষায় ইসলামী জনতা গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে, যা সরকারের জন্য শুভ হবে না। গত ৪ ফেব্রæয়ারি রাজধানীর গেন্ডারিয়াস্থ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে তিন দিনব্যাপী বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনে বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব আলামা নূরুল হুদা ফয়েজী, বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আলামা মুফতি আবদুল কুদ্দুস, পীর সাহেব চরমোনাই (রহ.)-এর সাহেবজাদা মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, মুফতি জাফর আহমদ পীর সাহেব ঢালকানগর, মুফতি রুহুল আমীন কাসেমী, শায়কুল হাদীস মাওলানা মকবুল হোসাইন, মুফতি মাহদী হাসান, মুফনি বিন ইয়ামিন কাসেমীসহ দেশের বরেণ্য উলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সংশোধিত সিলেবাস ও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী নতুনভাবে চক্রান্ত শুরু করেছে। নাস্তিক্যবাদীদের যে কোনো চক্রান্ত কঠোরহস্তে দমন করতে হবে। ৯২ ভাগ মুসলমানের চিন্তা-চেতনা ভ‚লুণ্ঠিত করে গুটিকয়েক নাস্তিক-মুরতাদের মনোবাসনা অনুযায়ী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করার অপরিণামদর্শী খেলায় মেতে উঠেছে। তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মের ছেলেমেয়েরা হিন্দু ধর্মীয় বিষয়াদি পড়বে, এতে কারো আপত্তি নেই। কিন্তু মুসলমান ছেলেমেয়েদের জন্য হিন্দু ধর্মীয় বিষয়াদি যেভাবে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তা কোনো বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারে না। বিষয়টি অবশ্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উসকানিমূলক। এই উসকানিমূলক জঘন্য কাজ যারা করেছে ক্ষমতাসীনরা তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা না নিলে শুধু সরকারকেই নয়, গোটা জাতিকে এর মাশুল দিতে হবে।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মজলিসে আমলের (কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ) নিয়মিত বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের সর্বোচ্চ আইনাঙ্গনে অশ্লীল দেবী থেমিসের মূর্তি স্থাপন ইসলামের বিরুদ্ধে চরম অবমাননা এবং ধৃষ্টতার শামিল। মুসলমানদেরকে মূর্তির দিকে মনোযোগ আকর্ষণের জন্য গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা বলেন, অবিলম্বে মূর্তি অপসারণ করা না হলে ধর্মপ্রাণ ইসলামী জনতা রাজপথে নামতে বাধ্য হবে। গত রবিবার বিকালে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মজলিসে আমলের (কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ) নিয়মিত বৈঠক মজলিসে আমলের অন্যতম সদস্য মোস্তফা বশীরুল হাসানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হুসাইন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মওলানা মাহফুজুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মাওলানা ফারুক আহমদ, অফিস সম্পাদক মাওলানা আবুবকর সিদ্দিক সদস্য- মাওলানা রফিকুল ইসলাম খন্দকার প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন