স্টাফ রিপোর্টার, সাভার (ঢাকা) থেকে : ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্সে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক জনের মৃত্যুর ঘটনায় ২৭জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে নিহত আব্দুর রহিমের ছোট ভাই সুমন পন্ডিত বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১২-১৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এদিকে ঘটনার পরপরই বুধবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকাÐের সাথে জড়িত সন্দেহে পাথালিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য শফিউল রহমান সোহাগকে গ্রেফতার করে। পরে তাকেও মামলার আসামী করা হয়।মামলায় সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান, আওয়ামী লীগের কর্মী সজীব, শরীফ হোসেন, হাবিব মিয়া, হাসু, দেওয়ান হালিমসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ কে এম শামীম হাসান জানান, বুধবার ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযানে নামে। পরে রাতে কুড়গাঁও এলাকা থেকে হত্যাকাÐের সাথে জড়িত ইউপি সদস্য শফিউল রহমান সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া হত্যাকাÐে ব্যবহৃত পিস্তলের ম্যাগজিন উদ্ধার করা হলেও পিস্তলটি পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, গুলি করে পালানোর সময় হয়তো ম্যাগজিনটি খুলে পড়ে যায়। পরে লোকজন সেটি কুড়িয়ে পেয়ে পুলিশের কাছে জমা দেয়।
তিনি আরো বলেন, হামলায় ব্যবহৃত হকিস্টিক, লাঠিশোঠা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকেলে আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজার এলাকায় আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের সংঘর্সে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় আব্দুর রহিম (৪৮)। সে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী। এছাড়া সে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদ মোয়াজ্জেম হোসেনের খালাতো ভাই। এ ঘটনায় আহত হয় অন্তত আরো ৫জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন