কর্পোরেট রিপোর্ট : রাজধানী ঢাকায় চলছে তিন দিনব্যাপী মৌ মেলা। চাষীদের উদ্বুদ্ধকরণ, উৎপাদন বৃদ্ধি ও রফতানিতে উৎসাহিত করতে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন কেআইবি মিলনায়তনে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই) তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করে। গত রোববার এ মেলা উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। ডিএইর মহাপরিচালক ও কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার ফারুক এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আমির হোসেন আমু বলেন, দেশে যে পরিমাণ সরিষা চাষ হয় তার তুলনায় আমরা মাত্র ২০ শতাংশ মধু আহরণ করতে পারি। ৮০ শতাংশ মধু আহরণ করা হয় না। এ কারণে ক্ষুদ্র চাষী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধু আহরণ ও চাষের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাহলে আমরা মধু রফতানি করতে পারব। একই সঙ্গে মধু উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চিনি আমদানিও কমে যাবে। তিনি বলেন, আমরা বাইরে থেকে প্রচুর পরিমাণে মধু আমদানি করে থাকি। আমরা মনে করি বাইরের জিনিস বেশি ভালো- এ কারণে বেশি দাম দিয়ে হলেও বাইরের জিনিস কিনে থাকি। তিনি ভারতে ডাবর কোম্পানির মধুর উদাহরণ দিয়ে বলেন, ভারতের ডাবর কোম্পানির যে মধু আমরা কিনি তা বাংলাদেশ থেকে তৈরি মধু। আমরা প্রতি বছর ৪শ’ টন মধু ভারতে রফতানি করি। এখানে মধু প্রসেস করতে পারলে আমাদের ভারতের প্রসেসিং করা মধু কিনতে হবে না। তিনি জানান, আজকাল মধু হট বিউটি টিপস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে মানুষের শরীর ফিগার ভালো থাকবে। আমাদের মধু দিয়ে বিউটি টিপস ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে হবে বলেও জানান তিনি। মতিয়া চৌধুরী বলেন, অনেক চাষী মনে করেন, মৌ চাষে তাদের ফসলের ক্ষতি হয়। এরকম নানা ভুল ধারণা তাদের মধ্যে রয়েছে। তিনি বলেন, ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দেশে মধু চাষ ও উৎপাদন তেমনভাবে সম্প্রসারিত হয়নি। এর চাষ সম্প্রসারিত হলে দেশে কর্মসংস্থান ও রফতানির সুযোগও রয়েছে। এখানে মধুর সঙ্গে জড়িত সব শ্রেণীর মানুষের অংশগ্রহণও থাকবে। অনেক ফসল ও ফলে মধু চাষ হয়ে থাকে। যেমন সরিষা, কালোজিরা, ধনিয়া, তিল, পেঁয়াজ বীজ, সূর্যমুখী, লিচু, আম গাছ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন