শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

ইসলামী কর্মতৎপরতা

| প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মূর্তি অপসারণ করতে হবে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, দীন প্রতিষ্ঠিত না থাকায় সর্বত্র অশান্তি বিরাজ করছে। সন্ত্রাস, দুর্নীতি মহামারী আকার ধারণ করেছে। নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষাব্যবস্থার কারণে মানুষ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে সকলকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ফিরে আসতে হবে। দীন প্রতিষ্ঠায় কর্মীদের আনুগত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তিনি বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে আজ ইসলামের অবস্থা বড়ই নাজুক। ইসলাম না থাকায় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় মূর্তির সংস্কৃতি চালু করে মানুষকে শিরকে লিপ্ত করাতে চাচ্ছে। মূর্তির সংস্কৃৃতি থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হবে।
গত ২৪ মার্চ সকাল ১০টা থেকে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলা শাখার কর্মী তারবিয়াতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা জেলা সভাপতি আলহাজ সৈয়দ আলী মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি আলহাজ শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী তারবিয়াতে প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, বিশেষ আলোচক ছিলেন দক্ষিণ সেক্রেটারি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া। তারবিয়াতে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন জেলা সহ-সভাপতি আলহাজ হানিফ মিয়া, আলহাজ হাফেজ জয়নুল আবেদীন, আব্দুর রাজ্জাক বেপারী, জয়েণ্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক, মুহা. হাসমত আলী, মাওলানা নূর হোসাইন, মুফতি আব্দুল করীম, মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন, মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মুফতি ইজহারুল ইসলাম, হাজী আব্দুল মালেক, ডা. দেলোয়ার হোসেন, টিএম মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, মূর্তির সংস্কৃতি ইসলামবিরোধী। যারা মূর্তির সংস্কৃতি লালন করে তারা ঈমানদার হতে পারে না। অবিলম্বে এই মূর্তি সরাতে হবে। মূর্তির বিরুদ্ধে গড়ে উঠা আন্দোলনের জনমত সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিতে পারে। তাই মূর্তি অপসারণ করলে সরকারেরই কল্যাণ হবে। মূর্তি না সরালে যে কোনো মূল্যে ২১ এপ্রিল রাজধানী ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশ সফলের মাধ্যমে ঈমানদার জনতা গ্রিক মূর্তিসহ সকল মূর্তি ভেঙে দিতে বাধ্য হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করলে মানুষ বিপথগামী হতো না। ইসলামী শিক্ষা না থাকায় সর্বত্র মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। ইসলামী শিক্ষার অভাবে মানুষ ক্রমেই নৈতিকতাহীন হয়ে পড়ছে। পারিবারিকভাবেও এর প্রভাবে মানুষ দিশেহারা। তিনি বলেন, প্রকৃত ইসলামী শিক্ষার অভাবেই মানুষ জঙ্গিবাদের মতো পথ বেছে নিতে দ্বিধা করে না। সরকার সিলেবাসে হাত দেয়ার কারণে এবং শিক্ষানীতি থেকে ইসলাম বাদ দেয়ার কারণে সর্বত্র মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। এ থেকে বাঁচতে হলে শিক্ষানীতি সংশোধন করতে হবে, শিক্ষাআইন ২০১৬ বাতিল করতে হবে এবং সিলেবাস থেকে ইসলামবিরোধী সকল গল্প-কবিতা বাদ দিতে হবে।
গত ২২ মার্চ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের কদমতলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এতে স্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও ইমামগণ নসিহত পেশ করেন। মূর্তির সংস্কৃতি ইসলামবিরোধী। যারা মূর্তির সংস্কৃতি লালন করে তারা ঈমানদার হতে পারে না। তিনি বলেন, অবিলম্বে এই মূর্তি সরাতে হবে। মূর্তির বিরুদ্ধে গড়ে উঠা আন্দোলনের জনমত সরকারের বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে। তাই মূর্তি অপসারণ করলে সরকারেরই কল্যাণ হবে। মূর্তি না সরালে যে কোনো মূল্যে ২১ এপ্রিল রাজধানী ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশ সফলের মাধ্যমে ঈমানদার জনতা মূর্তি ভেঙে দিতে বাধ্য হবে।
ইসলামী আন্দোলন ঢাকা
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলা সভাপতি আলহাজ সৈয়দ আলী মোস্তফা বলেছেন, বাংলাদেশের গণমানুষের আস্থার প্রতীক সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবী থেমিসের মূর্তি স্থাপন করে মানুষকে শিরককারী বানাতে চায়। দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান জনগোষ্ঠীর অন্তরে চরমভাবে আঘাতকারী এই মূর্তি সরাতেই হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, ন্যায়বিচারের প্রতীক মাটি বা ধাতবের তৈরি মূর্তি হতে পারে না। কারণ মূর্তির বাকশক্তি ও বোধ শক্তি নেই। সৃষ্টিকর্তা ও তার নাযিল করা কোরআন হচ্ছে ন্যায়বিচারের প্রতীক। আল্লাহ ন্যায়বিচারের সকল পদ্ধতি পবিত্র কোরআনে লিপিবদ্ধ করেছেন। আর আল্লাহর রাসূল (সা.) তা পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করেছেন। এজন্যই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ন্যায়বিচারকরূপে প্রতিষ্ঠিত। অবিলম্বে মূর্তি ভেঙে ফেলতে হবে। অন্যথায় ঈমানদার জনতা জাতিকে শিরক থেকে বাঁচাতে মূর্তি ভেঙে ফেলতে বাধ্য হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন