প্র:- মাসবূক কোন নামাযের দি¦তীয় রাকাতে ইমামের কিরাত পড়ার সময় শরীক হলে তাকে সানা পড়তে হবে কি?
উ:- ইমাম সশব্দে কিরাত পড়তে থাকলে সানা পড়া যাবে না। কিরাত শুনতে হবে। আর কিরাত চুপিসারে পড়তে থাকলে মাসবূক নামাযে শরীক হয়েই সানা পড়ে ফেলবে। নিজের অবশিষ্ট রাকাত আদায় করার শুরুতে আবার পড়বে। (কবীরী)
প্র:- মাসবূক যদি ইমামকে রুকূ বা সিজদাহর মধ্যে পায় তাহলেও কি সানা পড়বে?
উ:- এমতাবস্থায় সে যদি নিশ্চিত হয় যে, সে সানা পড়েও রুক‚ বা সিজদায় শরীক হতে পারবে, তাহলে সানা পড়বে; আর না হয় সানা বাদ দিয়ে তাড়াতাড়ি ইমামের কাজে শামিল হবে।
প্র:- ইমামকে বসা অবস্থায় পেলে মাসবূক সানা পড়বে কি না?
উ:- সানা পড়বে না। তাড়াতাড়ি বৈঠকে মিলিত হবে।
প্র:- নামাযের মধ্যে ইমামের ‘হদস’ বা ওযু ভঙ্গের কারণ ঘটে গেলে কি করতে হবে?
উ:- তৎক্ষণাত সরে গিয়ে যে রোকন বা কাজের মধ্যে হদস হয়েছে সেই রোকনেই মুক্তাদীগণ হতে একজনকে খলীফাহ নিযুক্ত করে যেতে হবে।
প্র:- কোন্ রোকনের কোন্ অবস্থায় হদস হয়েছে এবং কোথা হতে তাকে নামায পড়াতে হবে এটা জানানোর জন্যে খলীফাকে কিভাবে হিদায়াত দিতে হবে?
উ:- ইশারা ইঙ্গিতে তাকে বুঝাতে হবে। যেমন কিরাতের জন্য মুখে আঙ্গুল দিয়ে, এক রাকাতে এক আঙ্গুল দেখিয়ে আর দুই রাকাতের জন্যে দুই আঙ্গুল দেখিয়ে ইশারা করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন