শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ নয়- অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নেই সমাধান

প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাখাওয়াত হোসেন বাদশা : সার কারখানায় গ্যাস বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এই বন্ধের নির্দেশ সাময়িক হলেও এর প্রভাব পড়বে সার উৎপাদনের উপর। বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বলছে, সেচ মৌসুমে অতিরিক্ত বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এর সাথে একমত নন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, শিল্প ও আবাসন খাতে যে পরিমাণ অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে তা বিচ্ছিন্ন করতে পারলে সার কারখানার গ্যাস বন্ধ করার প্রয়োজন হতো না। পেট্রোবাংলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, শিল্প ও আবাসিক খাতের অবৈধ সংযোগ অন্তত ৩শ’ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস গিলে খাচ্ছে। এই পরিমাণ গ্যাস সাশ্রয় করতে পারলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর অতিরিক্ত চাহিদা অনায়াশেই মেটানো সম্ভব হতো বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
দেশে মোট ছয়টি সার কারখানার পাশাপাশি রয়েছে একটি টিএসপি কারখানা। এসব সার কারখানায় উৎপাদনের পরও মোট চাহিদার দু’তৃতীয়াংশ সার এখনো বিভিন্ন দেশ থেকে চড়া দামে আমদানি করতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজেদের সারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব কারখানায় উৎপাদিত সার রপ্তানির ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র গ্যাস এবং কাঁচামাল সংকটের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। জানা যায়, বর্তমানে প্রতি বছর ২৮ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া, ৭ লাখ ৫০ হাজার টন টিএসপি, ৭ লাখ মেট্রিক টন ডিএপি এবং ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে।
এর মধ্যে ৮ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া, ১ লাখ মেট্রিক টন টিএসপি এবং ৬০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার দেশে উৎপাদন হচ্ছে। আর প্রয়োজনীয় বাকি সার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশ মূলত চীন, তাঞ্জানিয়া, কাতার, দুবাই, ইন্দোনেশিয়া, তিউনিশিয়া, লেবানন এবং মরক্কো থেকে সবচেয়ে বেশি সার আমদানি করে থাকে। রাশিয়া থেকেও কিছু সার আমদানি করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে সেচ মৌসুমকে কেন্দ্র করে সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হলে উৎপাদন ব্যাহত হবে। যার প্রভাব পড়বে কৃষির উপর।
এদিকে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, সেচে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা বহাল রাখতে যমুনা ছাড়া সব সার কারখানা আগামী মাস (মার্চ) থেকে পর্যায়ক্রমে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। তিনি বলেন, এধরনের ব্যস্থার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে এবং সেচে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ নিয়ে যাতে কৃষককে ভোগান্তির কবলে পড়তে না হয়- এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। জানা যায়, সেচে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে পিডিবি’র পক্ষ থেকে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়। ওই বৈঠকে বলা হয়, চাহিদা মোতাবেক গ্যাস সরবরাহ করা না হলে পিডিবি’র পক্ষে সেচ মৌসুমে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা বহাল রাখা সম্ভব নয়। ওই বৈঠকে পেট্রোবাংলা বলেছে, গ্যাসের চাহিদা যে হারে বাড়ছে- তাতে করে চাহিদা মোতাবেক গ্যাস বিতরণ করাটা কঠিন হবে। এক্ষেত্রে সার কারখানা, বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় গ্যাসের ঘাটতি রেখে চাহিদা মোতাবেক গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব নয়। মূলত এরই আলোকে যমুনা সার কারখানা ছাড়া বাকী ৫টি সার কারখানায় পর্যায়ক্রমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি হতে সেচ মৌসুম শুরু হয়। যা মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত চলে। বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত বৈঠকে জানা হয়, ২০১৫ সালে ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ৭ হাজার ৫৭১ মেগাওয়াট। চলতি সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের এই চাহিদা ধরা হয়েছে ৮ হাজার মেগাওয়াট। এই চাহিদা পূরণ করতে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বরোপ করা হয় বৈঠকে।
অবৈধ গ্যাস সংযোগ
রাজধানী ও এর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও বিতরণের সাথে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি অংশ জড়িত রয়েছেন। এজন্য প্রধান ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটি সিন্ডিকেটও গড়ে তুলেছেন। তারা বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে বিতরণ লাইন ও সার্ভিস লাইন স্থাপন করে বিপুলসংখ্যক আবাসিক চুলা এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়েছেন। তিতাস অধিভুক্ত এলাকায় অবৈধভাবে স্থাপিত বিতরণ লাইন ও অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনায় গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেয়া হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কোম্পানীর আওতাধীন প্রায় সব এলাকাতেই কম-বেশি অবৈধ গ্যাস বিতরণ ও সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে সাভার, নারায়ণগঞ্জ ও কালিগঞ্জ এলাকায় অবৈধভাবে স্থাপিত বিতরণ লাইনের পরিমাণ অনেক বেশি। তদন্ত কমিটিকে তিতাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকালে কিছু কিছু এলাকায় অবৈধ লাইন স্থাপনকারী, স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং এলাকাবাসীর বাধার কারণে অবৈধ গ্যাসলাইন অপসারণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতীয়মান হয় যে, অবৈধ সংযোগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নামের আড়ালে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নেতৃত্বে কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।’
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কমিটির চাহিদাকৃত তথ্য না পাওয়ায় তদন্ত কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গরূপে পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। আবাসিক গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ অবৈধ সংযোগ রয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ শিল্পখাতে অবৈধ সংযোগ ও লোডবৃদ্ধি রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে অবৈধ শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সংযোগ বাবদ কারখানা ভেদে ২ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহ এলাকার ১৮টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বা বরাদ্দের চেয়ে বেশি গ্যাস-লোড নেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
তিতাস গ্যাস ঢাকা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নরসিংদী, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলায় গ্যাস সরবরাহ করছে। দেশের ৩০ লাখ গ্যাস গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ২০ লাখই এ কোম্পানির সেবা নেয়। এর মধ্যে আবাসিক গ্রাহক সংখ্যা ১৮ লাখ ৮০ হাজার ৩৫৩। আর ১০ হাজার ৯১৩টি বাণিজ্যিক এবং ৪ হাজার ৫৯০টি শিল্প গ্রাহক রয়েছে। কিন্তু বৈধ পাইপলাইন ও সংযোগের বাইরেও বিপুলসংখ্যক অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে, আবাসিকখাতে অবৈধ গ্রাহকের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সরকারি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই এসব গ্রাহকরা অবৈধভাবে শিল্প ও আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ নিয়েছে এবং ব্যবহারও করছে।
অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা বিষয়ে বিতরণ কোম্পানিগুলোর অভিমত হচ্ছে, গ্যাস অ্যাক্ট থাকলেও তা কাজে আসছে না। স্থায়ীভাবে তাদের সংস্থায় কোনো ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় এ সংক্রান্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারের কাছে বারবার চিঠি লেখার পরেও সাড়া মিলছে না। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনেক সময় পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে পাওয়া যায় না। হুমকির মুখে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করেই কোনো কোনো সময় টাস্কফোর্সকে অভিযান গুঁটিয়ে ফিরে আসতে হয়।
বিতরণ কোম্পানিগুলোর মধ্যে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির পরই গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে কর্ণফুলী এবং বাখরাবাদ কোম্পানির অবস্থান। স্বাভাবিকভাবে তিতাস, কর্ণফুলী ও বাখরাবাদেই অবৈধ সংযোগের সংখ্যা বেশি। বর্তমানে কোন কোন এলাকায় কোনটা বৈধ আর কোনটা অবৈধ সেটা চিহ্নিত করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চলতি বছর সেচের সংখ্যা
এদিকে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বিদ্যুৎ বিভাগকে জানানো হয়েছে-২০১৫ সালের তুলনায় চলতি বছর নতুন সেচ সংযোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩ হাজার ১০৮টি। গত সেচ মৌসুম পর্যন্ত সংযোগ সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৬৬টি। চলতি বছর তা দাঁড়াবে ৩ লাখ ৭২ হাজার ২৭৪টিতে। এই হিসাবে সেচকাজে ব্যবহৃত মোট লোডের ডমোন ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৭১ মেগাওয়াট। এছাড়াও সেচ সংযোগের জন্য অপেক্ষামান আবেদনের সংখ্যা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ১৪৯টি। এই অপেক্ষামান আবেদনসমূহের লোডের চাহিদা ধরা হয়েছে ১১০ মেগাওয়াট। সেচ সংযোগের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি রয়েছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি)। গত বছর বিআরইবি’র মোট সেচ সংযোগ সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬ হাজার ৫২৬টি। চলতি সেচ মৌসুমে প্রতিষ্ঠানটির ১১ হাজার ১০২টি নতুন সেচ সংযোগ ধরে মোট সেচ সংযোগের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৬২৮টি। এজন্য বিআরইবি মোট লোড ধরেছে ১ হাজার ৮৭৭ মেগাওয়াট। বাকী সেচ সংযোগগুলো হচ্ছে-বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো), ওজোপাডিকো, ডিপিডিসি ও ডেসকো’র।
বৈঠকে সেচ মৌসুমে গ্যাসের ব্যাপারে জানানো হয়, ২০১৫ সালে এই সময়ের জন্য গ্যাসের চাহিদা ছিল ১ হাজার ২৫০ এমএমসিএফডি এবং পাওয়া যায় ১ হাজার ৯৭ এমএমসিএফডি। ঘাটতি ছিল ১৫৩ এমএমসিএফডি। চলতি সেচ মৌসুমে গ্যাসের প্রয়োজন ১৪শ’ এমএমসিএফডি। এক্ষেত্রে ন্যূনতম প্রয়োজন ১ হাজার ২৬০ এমএমসিএফডি। গ্যাস সরবরাহের ব্যাপারে পেট্রোবাংলাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যেসব গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহ নির্বিঘœভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম সেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহ করতে হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ. জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ইনকিলাবকে বলেছেন, গ্যাস ফুরিয়ে আসছে। চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহ কম। কাজেই সঙ্কট তো থাকবেই। তিনি সঙ্কট মোকাবেলায় আবাসিকখাতে গ্যাস সংযোগ পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনার কথা জোড়ালোভাবে তুলে ধরেন। তারমতে, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস-এলপিজি’র ব্যবহার বাড়ালে গ্যাসের ওপর চাপ অনেকটাই কমবে। এক্ষেত্রে এলপিজি সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলপিজি ব্যবহার শুরু হলে চাহিদা মোতাবেক অবশ্যই সরবরাহ করা যাবে।
অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের ব্যাপারে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে? জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বলেন, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ব্যপারে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। তারমতে, আবাসিক ও শিল্প খাতে সব খানেই অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে। এতে করে বৈধ গ্রাহকরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তিনি বলেন, কৃষি আমাদের অগ্রাধিকার খাত। সেচের সুবিধার্থে এটুকু আমাদের সহ্য করতেই হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 


-

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন