সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বগুড়ার পৌর মেয়র নিজ বাড়িতে যুবলীগ নেতার হাতে লাঞ্ছিত

৩ বাজারের ইজারা নিয়ে বিরোধ

| প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বগুড়া অফিস : বগুড়া শহরের ৩টি বৃহত্তম বাজারের ইজারা দেয়াকে কেন্দ্র করে পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মাহবুবর রহমানকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেছে যুবলীগ নেতা মতিন সরকার ও তার দু’জন সহযোগী ব্যবসায়ী। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের জলেশ^রীতলায় মেয়রের বাসভবনেই এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপরই সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
স্ত্রী লাভলী বেগম এবং কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মেয়র কয়েকদিন যাবত অসুস্থ থাকায় পৌরসভায় যেতে পারেননি। তিনি বাসায় বিশ্রাম নেয়ার সময় সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যুবলীগ নেতা মতিন সরকার, ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান ও হাটবাজার ইজারাদার ময়না জয়সোয়াল তাদের ১০/১২ জন সহযোগী একসাথে এসে মেয়রকে ডাকেন। মেয়র দরজা খুলে দিলে তারা ড্রইংরুমে বসেন। বগুড়ার রাজা বাজার, ফতেহ আলী বাজার ও চাষী বাজারের ইজারা সংক্রান্ত বিষয়ে কথাবার্তা বলার এক পর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে মেয়রের উপর চড়াও হন। তাকে গালিগালাজ করা ছাড়াও প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং চরমভাবে লাঞ্ছিত করেন। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব মেয়রের বাসার লোকজন পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে নাজেহালকারীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়।
ঘটনার পরপরই পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কাউন্সিলর এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মেয়রের বাসভবনে উপস্থিত হয়ে তাকে সান্ত¦না দেন এবং এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
বগুড়া পৌরসভার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রে জানা গেছে, শহরের অন্যতম ব্যবসা বহুল রাজা বাজার ও ফতেহ আলী বাজার এবং চাষী বাজারের ইজারা দেয়াকে কেন্দ্র করে মেয়রের সঙ্গে ওই তিন ব্যক্তির বিরোধ চলে আসছিল। বাজার তিনটি প্রায় এক কোটি টাকায় যুবলীগ নেতা আব্দুল মতিন সরকারের নামে ওই তিনজন ব্যবসায়ী ইজারা নেন। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ইজারা দেয়ার প্রক্রিয়া চলাকালে উল্লেখিত ইজারাদাররা গত বছর ইজারা নিয়ে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে মর্মে আবেদন জানিয়ে আগের মতোই মতিন সরকারের নামে ইজারা বহাল রাখার জন্য নতুন করে ইজারা প্রদান প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন। এদিকে পৌরসভার পক্ষে থেকে ওই রিটের আবেদন নামঞ্জুর করে নতুন করে ইজারা দেয়ার অনুমতি প্রার্থনা করলে হাইকোর্ট ইজারাদারদের রিট খারিজ করে দেন। এতেই মেয়রের উপর রুষ্ট হন ইজারাদাররা। মূলত সেই ক্ষোভ থেকেই সোমবার ওই ইজারাদার সিন্ডিকেট ও তাদের লোকজন বাসায় গিয়ে মেয়রকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে।
মেয়র মাহবুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, আদালতের আশ্রয় নিয়ে হেরে গিয়ে মতিন সরকার, আব্দুল মান্নান ও ময়না জয়সোয়াল তার বাসায় আসে এবং নাজেহাল করে। তিনি তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করবেন বলেও জানান।
তবে ইজারাদারদের পক্ষে আব্দুল মান্নান মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, তারা মূলত মেয়রের নিকট হাইকোর্টে যে তাদের রিট খারিজ হয়েছে তার কপি দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। এই বিষয় নিয়ে মেয়রের সাথে শুধু ‘হট টক’ (উচ্চবাচ্য) হয়েছে অন্যকিছু নয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ৫:০০ এএম says : 0
এইসব ঘটনা জনসাধারণকে এতই ক্ষেপিয়ে তুলছে যে, এখন মনে হয় আওয়ামী লীগের সমর্থকরাও আওয়ামী লীগকে সামনের জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিবে কিনা আমার সন্দেহ আছে। আমার মতে জননেত্রী শেখ হাসিনা এবারের সম্মেলনে হঠাৎ করে কাদের সাহেবকে সাধারন সম্পাদক করার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। এটা আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি ভবিষতেও বলেই যাব। আওয়ামী লীগের ভরা ঢুবির পেছনে দলের সাধারন সম্পাদক কাদের সাহেবই দায়ী থাকবেন এটাই সত্য।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন