সোনাগাজী (ফেনী) উপজেলা সংবাদদাতা ঃ ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী কোন কর্তৃত্ববলে স্বীয় পদে আছেন, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টের দেয়া রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে গত মঙ্গলবার শুনানি শুরু হয়।
রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ শুনানি করেন। নিজাম হাজারীর পক্ষে ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আইনজীবী শফিক আহমেদ। আংশিক শুনানির পর ২৬ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। ২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদ- হয়। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে নিজাম হাজারী প্রথমে হাইকোর্ট ও পরে আপিল বিভাগে যান।
২০০১ সালের ২ মে প্রথমে হাইকোর্ট এবং পরে ২০০২ সালের ২৭ এপ্রিল আপিল বিভাগ তার সাজা বহাল রাখেন। ২০০৪ সালের ২৬ জুন আপিল বিভাগে তার রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনও খারিজ হয়। কিন্তু দুই বছর ১০ মাস কম সাজা খেটে ২০০৫ সালের ১ ডিসেম্বর নিজাম হাজারী কারাগার থেকে বেরিয়ে যান। ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে ২০১৪ সালের ১০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ অবস্থায় নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া। আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬(২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদ-ে দ-িত হন এবং তার মুক্তি লাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে। সে হিসেবে নিজাম হাজারী ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য হতে পারেন না। অথচ তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৮ জুন বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রুল দেন। ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে নিজাম হাজারী কোন কর্তৃত্ববলে পদে আছেন এবং ওই আসনটি কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না, রুলে জানতে চাওয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন