সবার ধারণা প্রাক্তন ন্যানির কারণে বেন অ্যাফ্লেকের সঙ্গে জেনিফার গারনারের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। অভিনেত্রীটি জানিয়েছেন তাদের ছাড়াছাড়ির পেছনে এমন কোন কারণ নেই। ভ্যানিটি ফেয়ার সাময়িকীকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ৪৩ বছর বয়সী অভিনেত্রীটি তার সন্তানদের লালন-পালনকারী ২৮ বছর বয়সী ন্যানি ক্রিস্টিন আউজুনিয়ান-এর সঙ্গে তার প্রাক্তন স্বামী অ্যাফ্লেকের সম্ভাব্য রোমান্টিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে মন খুলে কথা বলেছেন।
“আমি শুধু একটি কথা বলতে চাই। ন্যানিটির সম্পর্কে জানার বেশ কয়েকমাস আগে থেকেই আমরা আলাদা বসবাস করছিলাম। আমাদের বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তার কোনও ভূমিকা নেই। এই সমীকরণের অংশ নয় সে,” গারনার বলেন।
গারনার স্বীকার করেছেন ন্যানিগেট বলে চিহ্নিত ন্যানি নিয়ে এই কেলেঙ্কারি সামাল দেয়া খুব সহজ হয়নি বিশেষ করে তার তিন সন্তানের জন্য তো নয়ই। গারনার আর অ্যাফ্লেকের তিন সন্তানরা হল- ভায়োলেট (১০), সেরাফিনা (৭) এবং স্যাম (৪)।
“মন্দ বিবেচনা? অবশ্যই। একজন ন্যানি হঠাৎ গায়েব হয়ে যাওয়া শিশুদের জন্য খুব সুবিধার হয়নি। আমাকে আমার সন্তানদের ‘স্ক্যান্ডাল’ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হয়েছে,” তিনি আরও বলেন।
২০১৫’র জুনে আকস্মিকভাবেই জেনিফার গারনার এবং বেন অ্যাফ্লেক দম্পতি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন ঘোষণা দেন। এতে সংবাদ মাধ্যমে এবং তাদের ভক্তের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
অ্যাফ্লেকের (৪৩) সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের স্বরূপ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গারনার বলেন : “আমাদের ছিল সত্যিকারের দাম্পত্য জীবন। ক্যামেরাকে দেখাবার জন্য নয়। এবং আমার সবচেয়ে অগ্রাধিকার ছিল এতে সংশ্লিষ্ট থাকা। এবং তা কার্যকর হয়নি। আমি চলচ্চিত্র তারকাকে বিয়ে করিনি; আমি তাকে বিয়ে করেছিলাম। আমি ফিরে যেতে পারি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারি। আমি সৈকতে তার দিকে দৌড়ে গিয়েছি, আবার যেতে পারি।”
এই অভিনয়-দম্পতি ২০০৫ সালের ২৯ জুন বিয়ে করেন।
গ্রন্থনা : মোহাম্মদ শাহ আলম
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন