বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বাংলাদেশীরা সহজে পাবে ভারতের ভিসা ত্রিপুরার ডেপুটি স্পিকার

প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার ঃ ভারতের ত্রিপুরা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার পবিত্র কর বলেছেন, আমি শুনেছি ভারতের ভিসা পেতে বাংলাদেশীদের নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও এ বিষয়টি অবগত আছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে আরো জোরালো ভূমিকা নিতে হবে। তবে আমরা চেষ্টা করছি ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য। আশা করছি অচিরেই বাংলাদেশীরা ভারতের ভিসা সহজে পাবে।
গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে একটি হোটেলে সার্ক কালচারাল সোসাইটি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সার্ক কালচারাল সোসাইটির সভাপতি ও জাতীয় পার্টির এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জিয়াউল হক মৃধা এমপি, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সুজন দে, সার্ক কালচারাল সোসাইটি নেপালের সভাপতি রাজেন্দ্র গুরাদাই, কার্যকরী সভাপতি এ টি এম মমতাজুল করীম, সাংবাদিক মাহবুব আলম ও আইযুব আলী ভুইয়া।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পবিত্র কর ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ওই নির্বাচন না হলে দেশটি অনিশ্চয়তার দিকে চলে যেত। বিশেষ করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র অব্যাহত রাখার স্বার্থে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রয়োজন ছিল। কেউ নির্বাচনে আসুক আর না আসুক তাই বলে তো নির্বাচন বসে থাকতে পারে না। গণতন্ত্রের স্বার্থে ভারত সরকার এই নির্বাচনকে সমর্থন দিয়েছে। এখন শুধু ভারত নয়, সারাবিশ্বই এ নির্বাচনকে মেনে নিয়েছে।
ত্রিপুরার ডেপুটি স্পিকার বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের জন্য আমরা সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। ভারতের কমিউনিস্টরা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আমরাই সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে ছিলাম কিন্তু সে সময় বিশেষ কারণে সবার আগে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারিনি।
সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে ভারতের এই প্রবীণ বাম নেতা বলেন, আপনারা প্রায়ই অভিযোগ করেন, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর হাতে নিরীহ বাংলাদেশীরা নিহত হয়। আমি এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করব না। তবে সেই সঙ্গে বলব অনেক নিরীহ ভারতীয় নাগরিকও বাংলাদেশী সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর হাতে মারা যায়। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার জন্য দুই দেশের সরকার আন্তরিক। এ জন্য বিভিন্ন বাস্তবমুখী পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। তাই বর্তমানে সীমান্ত হত্যা অনেক কমে গেছে। তবে পুরোপুরি বন্ধ হতে আরো সময় লাগবে। রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন