স্টাফ রিপোর্টার : কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় রিমান্ডে থাকা বিদেশী নাগরিক থমাস পিটার জিজ্ঞাসাবাদে ব্যাংক কর্মকর্তা ও মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীসহ আরো ৪০ থেকে ৫০ জনের নাম বলেছেন। এছাড়া এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের ছাড়াও আরো কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় ইন্টারন্যাশনাল ব্ল্যাকশিপ মার্কেটের হর্তাকর্তাদের নাম বেরিয়ে এসেছে। দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডের প্রথম দিনে জার্মানির নাগরিক পিওটর এ তথ্য দিয়েছেন। এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেফতারকৃত বিদেশী নাগরিক পিওটর বর্ণনা দিয়েছেন, তিনি কিভাবে পস মেশিনের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের টাকা হাতিয়ে নিতেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। জিজ্ঞাসাবাদে এটিএম বুথের চেয়ে পস মেশিনের মাধ্যমে বিভিন্ন সুপার শপ থেকে তারা বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানান ডিএমপির এ কমিশনার।
মনিরুল ইসলাম বলেন, পিওটর জার্মানির নাগরিক তা আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তিনি জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করতেন। আর নিজেকে পোল্যান্ডের নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। গত এক বছরে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পিওটর কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব কাজে এ দেশের ৪০-৫০ জন ব্যবসায়ীও জড়িত বলে তিনি জানিয়েছেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, পস মেশিন ব্যবহার করে পিওটর ক্রেডিট কার্ডে টাকা হাতিয়ে নিতেন। উদাহরণ হিসেবে পিওটর বলেছেন, একজন ব্যবসায়ী পস মেশিনের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করছেন। এ সময় জালিয়াত চক্র ওই ক্রেডিট কার্ডের নম্বরটি গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে চুরি করত। এরপর ওই নম্বরটি দিয়ে ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে আরেকটি কার্ড তৈরি করত। এরপর পণ্য কিনে ওই কার্ড দিয়ে পস মেশিনে বিল পরিশোধের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিত।
তিনি আরো বলেন, পিওটর রিমান্ডে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে চক্রটি অত্যন্ত সংঘবদ্ধ। ইতোমধ্যে ৩-৪ জনকে আমরা শনাক্ত করেছি। বাকিদের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন