সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহে বিরত থাকতে পুলিশকে উকিল নোটিস

প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা মহানগর এলাকায় বাড়ির মালিকদের মাধ্যমে ভাড়াটিয়াদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের কাজ থেকে পুলিশকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। তথ্য সংগ্রহের এই কার্যক্রমের আইনগত কী ভিত্তি আছে, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে নোটিসে। গতকাল মঙ্গলবার রেজিস্ট্রি ডাকে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর কমিশনারকে পাঠানো ওই নোটিসে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না পেলে তিনি যথাযথ আদালতে সুরক্ষা চাইবেন।
জ্যোতির্ময় বড়–য়া বলেন, ‘আইন মেনে চলা একজন নাগরিক হিসেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আইনগত সহায়তা করতে আমি ইচ্ছুক। তবে যে সহায়তা তারা চাইছেন তা তাদের আইনগত এখতিয়ারে পড়ে না। এভাবে ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়ার মতো কোনো আইনি সুযোগ পুলিশের নেই।’
নোটিসে জ্যোতির্ময় বড়–য়া বলেন, নাগরিকদের যেসব ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য পুলিশ যেভাবে সংগ্রহ করছে, তা করার মতো প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পুলিশের নেই। এসব তথ্যের অপব্যবহার হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া এসব তথ্য যদি কোনো ভুল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে পড়ে, তাহলে ব্যক্তির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ক্ষুণœ হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সংবিধানে নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, পুলিশের এ উদ্যোগে তাও ভঙ্গ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার বিভিন্ন বাড়িতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আস্তানা ও বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়ার পর গতবছর বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের এই কাজ শুরু করে মহানগর পুলিশ। এক পৃষ্ঠার যে ফরম ভাড়াটিয়াদের পূরণ করতে দেওয়া হচ্ছে, সেখানে ভাড়াটিয়ার ছবির পাশাপাশি তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, ফোন নম্বর, জন্মতারিখসহ বাসার বাসিন্দা এবং গৃহকর্মী ও ড্রাইভারের তথ্য চাওয়া হয়েছে। ওপরে ঢাকা মহানগর পুলিশের লোগো সম্বলিত ওই ফরমের ফটোকপি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আবার তা সংগ্রহ করছেন পুলিশ সদস্যরা। কিন্তু পুলিশের এ উদ্যোগ নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও সংশয় তৈরি হওয়ায় সোমবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি নিজেও স্বীকার করেন, মানুষ মনে করছে, এসব তথ্য দিয়ে ভবিষ্যতে পুলিশি হয়রানির শিকার হতে পারেন তারা। তিনি বলেন, ‘এই তথ্য আমরা নিচ্ছি নগরবাসীর নিরাপত্তা বিধানের জন্য। এই তথ্য সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে, সংরক্ষিত থাকবে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন