বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

তুরস্কে পাশ্চাত্যের চেয়েও ভালো গণতান্ত্রিক নির্বাচন হয়েছে

| প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কে সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়ানোর গণভোটে পর্যবেক্ষকদের কারচুপির অভিযোগের তীব্র সমালোচনা করে নিজের জায়গায় থাকতে বলেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। গণভোটে জয়ের পর প্রেসিডেন্ট প্যালেসে এরদোগান সমর্থকদের সামনে দেওয়া ভাষণে বলেন, গণভোটের ফলাফলে দেখা গেছে, তুরস্কের জনগণ ওই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পর্যবেক্ষকদের কথায় কান দেননি। তিনি পর্যবেক্ষকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, নিজের অবস্থান চিনে নিন। সেখানেই থাকুন। গণভোটের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, তুরস্কে সবচেয়ে গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা পশ্চিমের কোথাও দেখা যায়নি। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার পরিধি বাড়াতে গত রোববার যে গণভোট হয়েছে তাতে বিরোধীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংগঠনগুলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে এরদোগান গত সোমবার এ মন্তব্য করেছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আরও বাড়ানোর প্রশ্নে অনুষ্ঠিত গণভোটে জয়ী হয়েছেন এরদোগান। দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষে ‘হ্যা’ ভোট পড়েছে ৫১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর না ভোট পড়েছে ৪৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ‘হ্যাঁ’ ভোটের জয়ের ফলে এখন প্রেসিডেন্ট হবেন নির্বাহী প্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান এবং রাজনৈতিক দলের সাথেও তার সম্পর্ক বজায় থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর ভ‚মিকা বিলুপ্ত করে দুই বা তিনজন ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ তৈরি করা হবে। বিরোধীরা অবশ্য ভোট পুনঃগণনার দাবি জানিয়ে বলেছে, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ভোটের হিসেবে গরমিল করেছে। গত সোমবার আঙ্কারায় এক সমাবেশে এরদোগান বলেন, পশ্চিমা ক্রুসেডার ও তাদের এ দেশীয় দাসদের আচরণ হচ্ছে আমাদের ওপর আক্রমণ চালানো। আপনারা যেসব রাজনৈতিক প্রতিবেদন তৈরি করেন, এগুলো আমরা দেখিও না শুনিও না। আমরা আমাদের লক্ষ্যে পথ চলতে থাকব। হাতের সঙ্গে কথা বলুন। এই দেশে সবচেয়ে গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা পশ্চিমের কোথাও দেখা যায়নি। এরদোগান পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি তুরস্কে মৃত্যুদÐের বিধান পুনর্বহাল করবেন। উল্লেখ্য, মৃত্যুদÐের বিধান পুনর্বহাল করলে তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার জন্য অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত হবে। এর আগে তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গণভোট নিয়ে পর্যবেক্ষকদের সমালোচনার কোনও ভিত্তি নেই। এসব সমালোচনা পর্যবেক্ষকদের পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানকে চিহ্নিত করে। প্রসঙ্গত, তুরস্কের গণভোটে ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষকরা কারচুপি ও পক্ষপাতের অভিযোগ করেছিলেন। তারা এ গণভোটকে ইউরোপীয় মানের নয় বলে উল্লেখ করেছিলেন। দেশটির প্রধান দুই বিরোধী দল গণভোটে তাদের পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপল’স পার্টি (সিএইচপি) এই ফলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তারা ৬০ শতাংশ ভোটের পুনঃগণনার দাবি জানিয়েছে। তুরস্কের বড় তিন শহর ইস্তাম্বুল, আঙ্কারা ও ইজমিরে ‘না’ ভোট পড়েছে বেশি। কুর্দিপন্থী পিপল’স ডেমোক্র্যাটিক পার্টিও (এইচডিপি) গণভোটের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করেছে। নতুন প্রস্তাবিত সংবিধান অনুসারে, প্রেসিডেন্ট শাসিত সরকারে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্ব করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাজ করতে একাধিক ভাইস-প্রেসিডেন্টের নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। বিবিসি, রয়টার্স, আনাদুলো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
তানিয়া ১৯ এপ্রিল, ২০১৭, ৪:০১ এএম says : 0
তাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন