কুয়েতের পথে মারকাজুত তাহফিজের ছাত্র
কুয়েতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গালফ এয়ারের একটি ফ্লাইটে কুয়েত যাচ্ছে হাফেজ ক্বারী নেছার আহমাদ আন নাছিরী কর্তৃক পরিচালিত যাত্রাবাড়ীস্থ বিশ্বসেরা হিফজ মাদরাসা মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনালের ছাত্র হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী। সে ধর্মমন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত কুয়েত আন্তর্জাতিক হিফজ প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সকল হাফেজদের পরাজিত করে ১ম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশ থেকে কুয়েত জন্য নির্বাচিত হয়ে কুয়েত যাচ্ছে। উল্লেখ্য, একাধিকবার জাতীয় পুরস্কার ছাড়াও সে এনটিভিতে প্রচারিত পিএইচপি কোরআনের আলো হিফজ প্রতিযোগিতায় ২০১৪ সালে ৩০ হাজার হাফেজদেরকে পিছনে ফেলে প্রথম হয়েছিল। এছাড়াও ২০১৭ সালে অত্র মাদরাসা থেকে ১৯ এপ্রিল ইরান যাচ্ছে অন্ধ হাফেজ আ. করিম এবং রমজানে দুবাই ও জর্ডানে যাচ্ছে যথাক্রমে হাফেজ ত্বরিকুল ইসলাম ও ফারহান হাবিব আওলাদ। ইতিপূর্বে অত্র মাদরাসার ছাত্ররা সৌদি আরবে ৭ বার , মিসরে ৩ বার, আলজেরিয়া ২ বার, লিবিয়া ১ বার, ইরান ৫ বার, কুয়েত ১ বার, কাতার ১ বার, গাম্বিয়া ১ বার, বাহরাইন ১ বার, দুবাই ২ বার ও জর্দানে ৪ বার বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকার করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সম্মানকে আরো উচ্চতায় নিয়ে গেছে এবং জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত এনটিভি, বাংলাভিশন, আরটিভি, এটিএন বাংলা, মাছরাঙা টিভিসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে মাহে রমজানে প্রচারিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় একাধিকবার ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অর্জন করে আসছে নিয়মিত। বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকাকে বিশ্ব দরবারে সমুজ্জল করায় সৌদি সরকারের পাশাপাশি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন বাংলাদেশে অত্যাধুনিক ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসার রূপকার হাফেজ ক্বারী নেছার আহমাদ আন নাছিরীর ও তার বিশ্ববিজয়ী হাফেজ ছাত্রদের হাতে। বরাবরের মতো এবারো যেন বাংলাদেশের জন্য প্রথম স্থান অর্জনের গৌরব বয়ে আনতে পারে সে জন্য দেশবাসীর নিকট সে দোয়া প্রার্থী। আপনার সন্তানকে বিশ্বজয়ী হাফেজ হিসেবে গড়ে তুলতে আজই যোগাযোগ করতে পারেন-০১৭১২০৫৪৭৬৩।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, মূর্তি অপসংস্কৃৃতি দুটিই ইসলামবিরোধী। মূর্তি অপসংস্কৃতিকে বৈধ মনে করলে ঈমান থাকবে না, মুসলমানিত্ব থাকবে না। তাই সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণ ও অপসংস্কৃতির ধারক জঘন্য ভারতীয় চ্যানেলসহ সকল অশ্লীল ও অবৈধ চ্যানেল বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় মুসলমানরা ঈমান রক্ষার স্বার্থে মূর্তি ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। ইসলাম এসেছে মূর্তির বিরুদ্ধে। রাসূল (সা.) বলেছেন, আমি প্রেরিত হয়েছি মূর্তির বিরুদ্ধে। তিনি আরো বলেন, রাসূল (সা.) বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ আইন প্রণেতা হিসেবে স্বীকৃত। আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের সামনের ফটকে রাসূল (সা.) নাম সর্বশ্রেষ্ঠ আইনপ্রণেতা হিসেবে লিপিবদ্ধ আছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টেও আইনপ্রণেতা রূপে কোনো মূর্তির অবস্থান নেই। কোনো মুসলিম দেশেও এরূপ কোনো নজির নেই। তাহলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনে কেন মূর্তি থাকবে। সুতরাং সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণ করতেই হবে। অন্যথায় জানমাল দিয়ে হলেও ঈমান রক্ষায় ইসলামী জনতা গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে, যা সরকারের জন্য শুভ হবে না। সম্প্রতি রাজধানীর গেন্ডারিয়াস্থ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে তিন দিনব্যাপী বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনে বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব আলামা নূরুল হুদা ফয়েজী, বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আলামা মুফতি আবদুল কুদ্দুস, পীর সাহেব চরমোনাই (রহ.)-এর সাহেবজাদা মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, মুফতি জাফর আহমদ পীর সাহেব ঢালকানগর, মুফতি রুহুল আমীন কাসেমী, শায়কুল হাদীস মাওলানা মকবুল হোসাইন, মুফতি মাহদী হাসান, মুফনি বিন ইয়ামিন কাসেমীসহ দেশের বরেণ্য উলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন