কর্পোরেট রিপোর্ট : ফেব্রুয়ারিতেও রেমিট্যান্স কমলো। চলতি (২০১৫-১৬) অর্থবছরের প্রথম থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহে মন্দাভাব দেখা দেয়। এরই মধ্যে সদ্যগত ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স আরো কমেছে। গত মাসে আসা রেমিট্যান্স আগের মাস জানুয়ারির চেয়ে এক দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং আগের বছরের একই মাসের তুলনায় পাঁচ দশমিক ১৪ শতাংশ কম এসেছে। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে আগের অর্থবছরের ৮ মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে এক দশমিক ৫৪ শতাংশ। রেমিট্যান্স কমার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জনশক্তি রফতানি কমে যাওয়া, সে দেশগুলোতে বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, বেসরকারি পর্যায়ে জনশক্তি রফতানিতে অনীহা, সর্বোপরি সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে ভালো জনশক্তির বাজারে ভালো অবস্থান সৃষ্টি করতে না পারাও রেমিট্যান্স প্রবাহ নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছুদিন ধরে ডলারের বিপরীতে টাকা শক্তিশালী হওয়ায় প্রবাসীরা এখন আর আগের মতো অর্থ দেশে পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে গত ফেব্রুয়ারিতে ১১৩ কোটি ১৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। আগের মাস জানুয়ারির তুলনায় যা এক কোটি ৯২ লাখ ডলার এবং আগের বছরের একই মাসের তুলনায় পাঁচ কোটি ৮২ লাখ ডলার কম। জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মোট ৯৭৬ কোটি ৯২ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে পাঠানো অর্থের পরিমাণ ছিল ৯৯২ কোটি ডলার। এ হিসেবে একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ১৫ কোটি ৮ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক দশমিক ৫৪ শতাংশ কমেছে। গত জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে রেমিট্যান্স কমেছিল ৯ কোটি ১২ লাখ ডলার; যা এক দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। এর আগে দীর্ঘ তেরো বছর পর ২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রবাসী আয় আগের অর্থবছরের তুলনায় ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা এক দশমিক ৬১ শতাংশ কমেছিল। বর্তমানের এ ধারা অব্যাহত থাকলে অর্থবছর শেষে রেমিট্যান্স উল্লেখযোগ্য হারে কমবে বলে সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন