২৩০টি শূন্যপদে নিয়োগ দেবে সরকারের মৎস্য অধিদপ্তর। আবেদন করতে হবে অনলাইনে। শেষ সময় ২২ মে বিকেল ৫টা।
সেকেন্ড ড্রাইভার, হিসাবরক্ষক, উচ্চমান সহকারী, ক্যাশিয়ার, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর, লঞ্চ ড্রাইভার, সারেং, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, ইলেকট্রিশিয়ান, হ্যাচারি টেকনিশিয়ান, গাড়িচালক, বাবুর্চি, অফিস সহায়ক, গার্ড/ফার্ম গার্ড, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ফার্ম গার্ড (এমএলএসএস), ডেকহ্যান্ড, কুক-কাম-বেয়ারার ও ফিশারম্যান পদে লোক নেবে মৎস্য অধিদপ্তর। এসব পদে ২৩০ জন নেয়া হবে। মৎস্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের (িি.িভরংযবৎরবং.মড়া.নফ) মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
আবেদন যেভাবে : আবেদন করতে হবে অনলাইনে। মৎস্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (িি.িভরংযবৎরবং.মড়া.নফ) অনলাইনে ফরম পূরণের নির্দেশনা পাওয়া যাবে। এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে আবেদন প্রক্রিয়া। শেষ সময় ২২ মে বিকেল ৫টা। বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংক থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ বিজ্ঞপ্তির ১ থেকে ১১ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা এবং ১২ থেকে ১৯ নম্বর পদের জন্য ৫০ টাকা মহাপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকার অনুক‚লে ১-৪৪৩১-০০০০-২০৩১ কোড নম্বরে জমা দিতে হবে। একই তারিখে আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি, ট্রেজারি চালানের মূল কপিসহ উপ-পরিচালক (প্রশাসন), মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন, রমনা, ঢাকা-১০০০-এই ঠিকানায় ডাকযোগে পৌঁছাতে হবে। আবেদনপত্রের খামের ওপর পদের নাম, জেলা ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কোটার নাম উল্লেখ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষার সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মনিবন্ধন সনদ, প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার দেওয়া চারিত্রিক সনদ, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র অথবা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরের দেয়া নাগরিকত্ব সনদ ও কোটার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সনদের মূল কপি দেখাতে হবে। চাকরিরতদের কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
আবেদনের যোগ্যতা : সকেন্ড ড্রাইভার পদে নেয়া হবে ২ জন, লঞ্চ ড্রাইভার ও সারেং পদে নেয়া হবে একজন করে। আবেদনের যোগ্যতা ইনল্যান্ড মাস্টার বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির সনদ। একই পদে দুই বছর কাজের অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। হিসাবরক্ষক পদে ২০ জন, উচ্চমান সহকারী ২ জন এবং ক্যাশিয়ার পদে নেয়া হবে ৩ জন। আবেদনের যোগ্যতা স্নাতক। সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর নেওয়া হবে ৫ জন। যোগ্যতা এইচএসসি। কম্পিউটার টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি শর্টহ্যান্ডে প্রতি মিনিটে যথাক্রমে ৪৫ ও ৭০ শব্দের গতি লাগবে।
অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নেওয়া হবে ১০৮ জন। আবেদনের যোগ্যতা এইচএসসি। কম্পিউটার টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় ও ইংরেজিতে যথাক্রমে ২০ শব্দের গতি থাকতে হবে। ইলেকট্রিশিয়ান নেওয়া হবে ২ জন। এইচএসসি এবং তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ট্রেড কোর্স থাকতে হবে। হ্যাচারি টেকনিশিয়ান পদে নেওয়া হবে ২৩ জন। বিজ্ঞানে এইচএসসি হলেই আবেদন করা যাবে।
৯ জন গাড়িচালক নেওয়া হবে। অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে। থাকতে হবে পাঁচ বছরের গাড়িচালনার অভিজ্ঞতা ও বৈধ লাইসেন্স। বাবুর্চি পদে ৪ জন, অফিস সহায়ক ২৬ জন, গার্ড/ফার্ম গার্ড ৯ জন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৫ জন, ফার্ম গার্ড (এমএলএসএস) ৪ জন, ডেকহ্যান্ড ৪ জন, কুক-কাম-বেয়ারার ১ জন এবং ফিশারম্যান পদে নেওয়া হবে ১ জন। আবেদনের যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাস। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
২২ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তবে মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বেলায় ৩২ বছর। মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের ক্ষেত্রে বয়স ৩০ বছর।
বেতন-ভাতা : জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুসারে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। সেকেন্ড ড্রাইভার, হিসাবরক্ষক, উচ্চমান সহকারী, ক্যাশিয়ার, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে বেতনক্রম ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা। লঞ্চ ড্রাইভার ও সারেং পদে বেতনক্রম ৯৭০০-২৩৪৯০ টাকা। অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, ইলেকট্রিশিয়ান, হ্যাচারি টেকনিশিয়ান, গাড়িচালক পদে বেতন পাওয়া যাবে ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা স্কেলে। বাবুর্চিপদের বেতনক্রম ৮৫০০-২০৫৭০ টাকা। অফিস সহায়ক, গার্ড/ফার্ম গার্ড, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ফার্ম গার্ড (এমএলএসএস), ডেকহ্যান্ড, কুক-কাম-বেয়ারার ও ফিশারম্যান পদের বেতনক্রম ৮২৫০-২০০১০ টাকা।
পরীক্ষার প্রস্তুতি : মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, লিখিত, মৌখিক ও বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পূর্বের নিয়োগ পরীক্ষার আলোকে জানা যায়, সব পদের জন্যই ৭০ থেকে ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। তবে পরীক্ষার নম্বর বণ্টনে পরিবর্তন আসতে পারে। হিসাবরক্ষক, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকসহ তৃতীয় শ্রেণির পদগুলোর লিখিত পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণ অংশ থেকে প্রশ্ন করা হয়। সারাংশ, ভাব সম্প্রসারণ, পত্রলিখন থাকতে পারে। ইংরেজি বিষয়ে গ্রামারের পাশাপাশি ট্রান্সলেশন, প্যারাগ্রাফ রাইটিং, লেটার রাইটিং ইত্যাদি থাকতে পারে। বীজগণিত ও পাটিগণিত অংশ থেকে প্রশ্ন করা হয় গণিতে। সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি থেকে প্রশ্ন করা হয়। লিখিত পরীক্ষায় রচনামূলক ও এমসিকিউ টাইপের প্রশ্ন করা হয়। অষ্টম-দশম শ্রেণির বোর্ড বই থেকে প্রস্তুতি নিতে পারেন। চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতেও বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। এ পদের প্রশ্ন করা হয় পঞ্চম শ্রেণি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির বোর্ড বইয়ের আলোকে। সব পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ডাক পড়বে মৌখিক বা ভাইভা পরীক্ষার জন্য। সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও ড্রাইভার পদের জন্য ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
১ তামান্না তানভী
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন