স্টাফ রিপোর্টার : রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গণে ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল করার অনুমতি পাওয়ার কথা জানিয়েছে দলটি। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্থানের কথা জানান।
তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় কাউন্সিলের জন্য তিনটি স্থান চেয়ে আবেদন করেছিলাম। গতকাল অনেক রাতে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন কর্তৃপক্ষ আমাদের লিখিতভাবে জানিয়েছে, তারা কাউন্সিলের জন্য আমাদের স্থান ব্যবহার করতে দেবেন। কত টাকা ভাড়া তাও জানিয়েছেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাউন্সিল করতে গণপূর্ত অধিদপ্তরে যে আবেদন বিএনপি করেছিল, তা এখন ‘প্রত্যাহার’ করে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান রিজভী। ওই কর্তৃপক্ষও আমাদের অনুমতি দিয়েছিল। আমরা সেখানে যাব না। রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনকে কেন্দ্র করে আমাদের কাউন্সিলের প্রস্তুতি শুরু করব।
জাতীয় কাউন্সিলের জন্য গঠিত উপ-কমিটিগুলো শুক্রবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গণ সরেজমিন পরিদর্শনে যাবেন বলে জানান বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব। ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির সর্বশেষ পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
কাউন্সিল অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, এটার নিয়ম হচ্ছে, পুলিশকে অবহিত করা। আমরা কাউন্সিলের বিষয়ে পুলিশকে আগে অবহিত করেছি, আবারো করব। নিয়ম হচ্ছে যে, সভা কিংবা কোনো অনুষ্ঠানের বিষয়ে মূল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া।
গত জানুয়ারির শেষদিকে কাউন্সিল অনুষ্ঠানের জন্য রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে বিএনপি।
এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র দলের অগ্রাধিকার থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি মেলেনি।
১৬২ ইউপিতে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি :
প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ মিলে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের বাধা ও হুমকির কারণে দলের ১৬২ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ মিলে ১৬২ জনের মতো বিএনপির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধাদান অথবা জমা দেওয়ার পর প্রত্যাহারে বাধ্য করে অথবা ঠুনকো অজুহাতে প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে রিজভী বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনাচার ও অনিয়মের ঘটনা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন নির্বিকার রয়েছে। তাদের (নির্বাচন কমিশন) পক্ষপাতিত্বের কারণে এখন পর্যন্ত দুই ধাপে নির্বাচনে সরকারি দলের প্রায় ১৫০ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে।
ফেনীর ফুলগাজীর জিএম হাট ইউনিয়ন, আনন্দপুর ইউনিয়ন, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার হিরন, রামশিল, বান্দাবাড়ী, তিনজুরী ইউনিয়ন, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নে সরকারি দলের হামলা ও বাধার কারণে বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
এছাড়া নড়াইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের অভিযোগ তুলে তার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবীর খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আব্দুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন