স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী ওলামা লীগের নির্বাহী সভাপতি হাফেজ আবদুর সাত্তার বলেছেন, সম্প্রতি তথাকথিত সংবিধান বিশ্লেষকরা বিবৃতিতে বলছেন, ‘কোনভাবেই রাষ্ট্র বিশেষ কোন ধর্মের প্রতি আনুগত্য দেখাতে পারে না এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশেষ কোন ধর্মকে প্রাধান্য দেয়া শুভ নয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে শাসনব্যবস্থায় বিভ্রান্তি দেখা দিবে, যার পরিণতি শুভ নয়’ নাঊযুবিল্লাহ। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধান সম্মত। যারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলবে তারা পক্ষান্তরে সংবিধানের বিরুদ্ধেই কথা বলছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের ২(ক) ধারায় লেখা রয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে।’ অপরদিকে সংবিধানে ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে লেখা রয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা।’ সেখানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মত অন্যান্য ভাষারও লালন-পালন উৎকর্ষতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে করা যাবে তা কিন্তু এখানে বলা হয়নি। অথচ বাংলা ভাষা ছাড়াও এদেশে হাজারো উপজাতি এদেশে বসবাস করে তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলে যাচ্ছে, লিখে যাচ্ছে। এমনকি উপজাতীয় ভাষায় পাঠ্যপুস্তক পর্যন্ত ছাপা হচ্ছে। তাহলে বিশ্লেষকদের কথা ও যুক্তি অনুযায়ী রাষ্ট্রভাষা বাংলাও ঠিক নয়। অর্থাৎ চাকমা, মারমা, মগসহ সকল উপজাতি এবং গোটা বাঙালি জাতির জন্যও রাষ্ট্রভাষা বাংলা শুভ নয়।
তাদের বক্তব্যের সরল হিসাব মোতাবেক তারা ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ এবং ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা’ দু’টোর প্রতিই বিষোদগার করেছে।
কাজেই ‘দেশে কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির দেয়া সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- তাদের ওয়াদার প্রতি দৃঢ় থেকে ইসলামের সার্বিক ভাবমর্যাদাকে সমুন্নত রাখা। ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানদের নিয়ে যারা বিষোদগার করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য সহ অনেক দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। যারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে বিতর্ক করে তাদের প্রভু দেশেও তাদের নিজস্ব ধর্মই রাষ্ট্রধর্ম। হাফেজ ছাত্তার আরো বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিষয়ে সরকার বিরূপ চিন্তা করলে তা সরকারের জন্য ভয়ানক ক্ষতির কারণ হবে। তাই সরকারকে এখনই সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন