কূটনৈতিক সংবাদদাতা : যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধার (জিএসপি) ব্যাপারে দেশটির সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। জিএসপি ফিরে পেতে বাংলাদেশ সব শর্ত পূরণ করায় শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে তাদের মানসিকতা বদলাবে বলে মনে করেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী ‘ইউএস ট্রেড শো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এ সময় সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট উপস্থিত ছিলেন।
তোফায়েল আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের জন্য জিএসপি ফিরে না পেলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ফোরাম চুক্তি (টিকফা) চুক্তি অর্থহীন হয়ে পড়বে।
মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বর্তমানে বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা না দিলেও দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো রয়েছে। এ বছরও যুক্তরাষ্ট্রে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার রফতানি হয়েছে। অর্থবছর শেষে এটি ৭ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে।
অনুষ্ঠানে মার্শা বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চেয়ে দ্রুত হারে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ছে। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এটা আরো বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস ও দি আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এ ট্রেড শোর ২৪তম আসর।
প্রসঙ্গত, এই ট্রেড শোতে ৫৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে, যার মধ্যে ৪০টি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের। প্রদর্শনীর তিন দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ২০ টাকার বিনিময়ে এই প্রদর্শনী ঘুরে দেখা যাবে। তবে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় বা আইডি কার্ড দেখিয়েও বিনামূল্যে প্রদর্শনী দেখতে পারবেন। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন আমেরিকান পণ্য রয়েছে বুথগুলোতে। ১০ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীর ইউএস ট্রেড শো অংশ নেবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন