রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মুচকি হাসছিলেন নূর হোসেন ও তারেক সাঈদ

না’গঞ্জের ৭ খুন

প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ৭ খুন মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেন, অন্যতম আসামী তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, আরিফ হোসেন ও এমএম রানাকে অভিযুক্ত করে আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন দায়েরকৃত ২ মামলার একটির বাদি সেলিনা ইসলাম বিউটি। সেলিনা ইসলাম বিউটি ৭ খুনের ঘটনায় নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামী পক্ষের আইনজীবীদের জেরার মুখে আবেগাপ্লুত বিউটি আদালতের কাঠগড়ায় ডুকরে কেঁদে উঠেন। সেলিনা ইসলাম আদালতকে বলেন, নূর হোসেনের সহায়তায় র‌্যাবের ৩ কর্মকর্তা এ হত্যাকা- ঘটায়। আর নূরের সহযোগীরা এ হত্যায় সহযোগিতা এবং লাশ গুমে সহায়তা করে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা ৩ ঘন্টা নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে প্রথমে সাক্ষ্য গ্রহণ এবং পরে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা বিউটিকে জেরা করেন। একে একে ৩২ আসামীর আইনজীবী বিউটিকে জেরা করলেও জেরা করার জন্য সময় প্রার্থণা করে জেরা করা থেকে বিরত থাকেন মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেন, অন্যতম আসামী র‌্যাব-১১’র সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ এবং সাবেক উপ অধিনায়ক এমএম রানার আইনজীবীরা। এ ৩ আসামীর পক্ষে বাদিকে জেরা করার জন্য সময় প্রার্থণা করায় বিচারক বাদিকে জেরার করার জন্য আগামী ১০ মার্চ তারিখ ধার্য করেন।
বিউটিকে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা যখন জেরা করছিলেন, ওই সময় বিউটির বিপরীত দিকের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মুচকি হাসছিলেন আসামী নূর হোসেন, তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এমএম রানা। এদিন এ ৪ আসামীকে আসামীর কাঠগড়ায় উত্তর-পশ্চিম কোনে সমান্তরাল ভাবে দাঁড়িয়ে একে অপরের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভাবে কথা এবং শলাপরামর্শ করতে দেখা গেছে। তবে আসামী পক্ষের জেরার সময় বাদি সেলিনা ইসলাম বিউটি কখনো কখনো আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেও তিনি ছিলেন শান্ত এবং স্বাভাবিক।
গতকাল সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আসামী নূর হোসেনসহ ২৩ আসামীকে আদালতে হাজির করা হয়। সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বিচারক এজলাসে উঠেন।
গত তারিখের মতো গতকালও সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবি রাখতে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসামী পক্ষের করা আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন। এদিন মামলার অন্যতম আসামী তারেক সাঈদ মোহাম্মদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতান উজ জামান বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এ মামলার চার্জগঠনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের ৩৪২ কার্য তালিকায় রয়েছে পিটিশনটি। যে কোন সময় পিটিশনটির শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। সে পর্যন্ত মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখার আবেদন করা হয় আদালতে। কিন্তু উচ্চ আদালত থেকে এ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র আদালতে না আসায় আদালত আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের নির্দেশ দেন। সকাল সাড়ে ১০টায় সেলিনা ইসলাম বিউটি সাক্ষ্য প্রদাণের জন্য আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ান। শপথ করার পর বিচারকের নির্দেশে তিনি তার সাক্ষ্য প্রদাণ শুরু করেন।
 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন