শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

পদ পেতে বিএনপি নেতাদের দৌড়ঝাঁপ

কাউন্সিলরদের প্রত্যাশা মির্জা ফখরুলই মহাসচিব

প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৫৫ পিএম, ৪ মার্চ, ২০১৬

আফজাল বারী : জাতীয় কাউন্সিল নিয়ে কাউন্ট-ডাউন শুরু হয়েছে বিএনপিতে। হাতে মাত্র ১৪ দিন। এরই মধ্যে দীর্ঘ প্রত্যাশার কাউন্সিল সফল করতে দিনরাত কাজ করছেন চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে উপ-কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।  
এদিকে আগেভাগেই বিএনপি নেতারা গুরুত্বপূর্ণ পদটি নিশ্চিত করতে দলের প্রভাবশালী নেতাদের সমর্থন ও দোয়া নিচ্ছেন। এ দৌড়ে বসে নেই ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক, শ্রমিক দলসহ বিএনপির ১১ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। সবারই নিজের নাম লেখাতে চান বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে।
অন্যদিকে ১৯ মার্চ কাউন্সিলে আনুষ্ঠানিকতার বিষয় থাকলেও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকেই ভারমুক্ত মহাসচিব হিসেবে দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে গণমাধ্যমে। স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা একই মতামত জানাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতার কাছে। কেন্দ্রীয় নেতারাও ব্যক্তিমত দিয়েছেন শীর্ষ নেতার কানে। কাক্সিক্ষত এই পদে প্রতিযোগিতা থাকাটাই স্বাভাবিক, তবে বহু আগেই তাকে ভারমুক্ত করার নীতিগত এবং অপ্রকাশিত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন চায় কাউন্সিলরগণ।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং নিবন্ধন বিধিমালা (আরপিও) অনুযায়ী, যথাসময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাউন্সিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিএনপির সর্বশেষ পঞ্চম কাউন্সিল হয়েছিল ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর, শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। দলীয় গঠনতন্ত্রে তিন বছর পর পর কাউন্সিল অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও ছয় বছরের বেশি সময় পর দলটির ষষ্ঠ কাউন্সিল হতে যাচ্ছে। এর আগেও প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, এবারের কাউন্সিলে প্রায় তিন হাজার কাউন্সিলরসহ পাঁচ হাজার ডেলিগেট ও বিদেশী প্রতিনিধিকে দাওয়াত জানানো হচ্ছে। হাতে স্বল্প সময় থাকার কারণে বিদেশীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তির সাথে বিএনপি চেয়ারপার্সন নিজেই কথা বলছেন দাওয়াত জানাচ্ছেন। কাউন্সিলের জন্য গঠিত ১১ উপ-কমিটি ২/১দিন পরপরই বৈঠক করছেন। এবার ১০টি প্রকাশনা থাকছে কাউন্সিল ঘিরে। এ সংক্রান্ত উপ-কমিটি তাদের প্রকাশনা কাজের বেশিরভাগই শেষ করে ফেলেছে বলে জানান কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল নোমান। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছে আপ্যায়ন কমিটি। তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে এবার কাউন্সিলে পুরাণ ঢাকার মোরগ-পোলাও পরিবেশন করা হবে। গতকাল কাউন্সিলের ভেন্যু ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গণ ও  মিলনায়তন পরিদর্শন করেন বিএনপির কাউন্সিল প্রস্তুতি উপ-কমিটিগুলোর আহ্বায়করা।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আসম হান্নান শাহ, শফিক রেহমান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, রুহুল কবির রিজভী, আব্দুস সালাম, রুহুল আলম চৌধুরী, মাহবুবউদ্দিন খোকন ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। আলাপকালে একাধিক উপ-কমিটির আহ্বায়ক ইনকিলাবকে জানিয়েছেন, স্থান দিতে  হাতে সময় কম দিলেও সুষ্ঠু ও সফল কাউন্সিলের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।  
পদের জন্য দৌড়ঝাঁপ :
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা ইনকিলাবকে বলেন, সবার দৃষ্টি বিএনপির নির্বাহী কমিটির দিকে। সদ্য সাবেক ছাত্র দল, যুবদল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাও বিএনপির সম্পাদকমন্ডলীতে চেয়ার চান। দিনে দিনে তাদের আবদারপত্রের স্তুপ বাড়ছে। কেউ সরাসরি বেগম খালেদা জিয়া, দূত মারফত তারেক রহমানের কাছে দাবি উপস্থাপন করছেন। আবার কেউ কেউ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সুপারিশ নিচ্ছেন। বিষয়টি খেয়াল রেখেই বিএনপি চেয়ারপার্সন সম্প্রতি তার বক্তব্যে বলেছেন, এবার প্রবীণদের উপদেষ্টার আসনে নেবেন। নতুনদের সামনে রাখবেন। ছাত্রদল, যুবদলের অনেক নেতা আছে যারা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার যোগ্যতা রাখে।    
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি থেকে বাদ পড়ছেন কয়েকজন। কমিটিতে অর্ন্তভূক্ত হচ্ছেন ৭/৮ জন। এদের মধ্যে ভাইস-চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, মোর্শেদ খান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, বেগম সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের নাম আলোচনায় রয়েছে। দলের সাত যুগ্ম-মহাসচিবের মধ্য থেকে একজনকে এই কমিটিতে নেয়া হবে।  তাতে রিজভী আহম্মেদ ও সালাহ উদ্দিন আহম্মেদের নাম শুনা যাচ্ছে।
ভাইস-চেয়ারমানের তালিকায় নতুন করে অন্তর্ভূক্তির কথা চলছে বরকত উল্লাহ বুলু, আমান উল্লাহ আমান, গোলাম আকবর খন্দকার, জয়নাল আবেদীন ফারুক, এডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার নাম।
যুগ্ম মহাসচিব পদের দাবি জানিয়ে আসছেন-প্রচার সম্পাদক জয়রাল আবেদীন ফারুক, সাবেক ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান রিপন, ফজলুল হক মিলন, শামসুজ্জামান দুদু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আসাদুল হাবীব দুলু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, খায়রুল কবির খোকন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীও।
বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দুইটি পদ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও দফতর। ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল ও বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। দফতরের দায়িত্ব রিজভী আহম্মেদের হাতেই রাখতে চান খালেদা জিয়া। তবে সহ-দফতরের দায়িত্ব নেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন- সাবেক ছাত্রদল নেতা শহীদুল ইসলাম বাবুল, আব্দুল আউয়াল খান। যারা আছেন তাদের মধ্যে দুইজন বাদ পড়ছেন। দলে নারী নেতৃবৃন্দকে বরাবরই কোনঠাসা রেখেছে বিএনপি। ক্ষমতাসীন দলে নারীদের যেভাবে পদস্থ করা হয়েছে তার ধারে-কাছেও যেতে পারেনি বিএনপি। কিন্তু গত সংসদে দলটির হাতেগুনা ৪/৫জন নেত্রীই সংসদের গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছেন। তাদেরকে এবার গুরুত্বপূর্ন পদে বসানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এ তালিকায় রেহানা আক্তার রানু, নিলুফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আক্তার, সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপীয়া, রাশেদা বেগম হীরার নাম রয়েছে। এছাড়াও সাবেক এমপি হেলেন জেরিন খান, ফাহিমা হোসেইন জুবলিসহ দুই ডজন নারীকে নির্বাহী কমিটির মানানসই পদে বসানো হবে।
নেতা-কর্মীদের চাওয়া মির্জা ফখরুল :
দলে গণতন্ত্র চর্চার উদাহরণ রাখতেই বিএনপির শীর্ষ দুই পদ চেয়ারম্যান ও সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হচ্ছে। তবে কাউন্সিলের আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান  (চেয়ারপার্সন) নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আরেক গুরুত্বপূর্ন পদের চিত্রটিও দেখার প্রত্যাশায় ছিলো দলটির নেতাকর্মীরা। দুই নেতা নির্বাচিত হবার আগে থেকেই দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ভারমুক্ত দেখার আশায় ছিলেন। চাউর ছিলো লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই ভারমুক্ত করণ সংক্রান্ত বার্তা আসবে শীর্ষনেতার তরফ থেকে। নীতিগত সিদ্ধান্তও ছিলো। তবে কাউন্সিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। দলের স্থায়ী কমিটি, সাংগঠনিক সম্পাদক (সাত বিভাগ), নির্বাহী কমিটিসহ তৃণমূলের শতাধিক নেতা যাদের মতামতে গুরুত্বপূর্ন পদে নেতা নির্বাচিত হবেন। তাদের সাথে আলাপকালে ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করেছেন ইনকিলাবের কাছে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার (চট্টগ্রাম বিভাগ) বলেন, বিএনপির মতো বড় দলের মহাসচিব পদ ধারণ-বহনের জন্য যতগুলো রাজনৈতিক গুণাবলী, যোগ্যতা-দক্ষতা দরকার এবং ত্যাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মধ্যে তার চেয়ে বেশি রয়েছে। অনেক আগেই তাকে ভারমুক্ত করার দাবিও ছিলো। আমি মনে করি এবার বিএনপি একজন সুযোগ্য মহাসচিব পাবে।    
মহাসচিব নির্বাচন প্রসঙ্গে আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) মশিউর রহমান বলেন, দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ মহাসচিব নির্ধারণ করবেন চেয়ারপার্সন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। দীর্ঘসময় ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংগঠনকে যে শ্রম-মেধা দিয়েছেন এবং সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাতে তাকে ভারমুক্ত করা এখন তৃণমূলের দাবিতেও পরিণত হয়েছে।
সাংগঠনিক সম্পাদক ও পার্লামেন্টারিয়ান শ্রমিক নেতা মজিবর রহমান সরোয়ার ইনকিলাবের কাছে তার মতামত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিএনপিতে মহাসচিবের দায়িত্ব নেয়ার মতো অনেক নেতাই আছেন। তবে দায়িত্বতো একজনকেই দিতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব দিয়ে ওই চেয়ারের জন্য প্রস্তুত করেছেন নেত্রী। আমিও মনে করি এবার তাকেই মহাসচিব করা হবে। তৃণমূলসহ সুশীল সমাজের কাছে তিনি পছন্দেরও।
রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলুর মতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের আরো অনেকের চেয়ে যোগ্য। দুর্নীতির ছোয়া লাগেনি, পাহাড়সম সম্পদের মালিকবনেও যাননি। শিক্ষার দিকেও কমতি নেই। তাই এবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেই চাই।
কাউন্সিলের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক ”লচ্চিত্রকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার তার ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরে বলেন, একজন রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলামকে দলের জন্য প্রয়োজন বলে মনে করি। সুস্থধারার পরিচ্ছন্ন রাজনীতির জন্য আমি তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি।   
শীর্ষ দুই পদে মনোনয়নপত্র দাখিল :
বিএনপির চেয়ারপারসন পদের জন্য খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। গতকাল বিএনপির এ দুই নেতা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কাউন্সিলের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ দুই পদে দুজন ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। বেগম খালেদা জিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে রুহুল কবির রিজভী গতকাল বেলা ১১টা ২০ মিনিটে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন। এরপর দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে তারেক রহমানের এজেন্ট দলের যুগ্ম মহাসিচব মোহাম্মদ শাহজাহান মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হবে আজ। প্রত্যাহারের শেষ দিন ৬ মার্চ।



 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
রুহুল আমিন ৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:২৯ পিএম says : 1
আশা করি এই কাউন্সিলের মাধ্যমে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদেরকে বেছে নেয়া হবে।
Total Reply(0)
Biplob ৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:৪০ পিএম says : 0
be careful about Treacherous
Total Reply(0)
হাবিব ৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:৪২ পিএম says : 0
এই নতুন যে কমিটি হবে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।
Total Reply(0)
শুভ্র ৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:৪৩ পিএম says : 0
ফখরুলের কোন বিকল্প নেই.....................
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন