শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বাড়ছে রসুন-পেঁয়াজের ঝাঁঝ

প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রাজধানীর কাঁচাবাজারে স্বস্তির দেখা নেই। গত তিন মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। নিত্যপণ্যের বাজারে বেড়েছে গোশতের দাম। বিগত সপ্তাহে বৃদ্ধির পরে সবজির দাম কিছুটা স্থিতিশীল। প্রায় বছরজুড়ে একের পর এক পণ্যের দাম বাড়ছে। একটির দাম কমলে অন্যটির বাড়ছে। এতে সাধারণ ক্রেতারা অসহায় হয়ে পড়লেও দেখার কেউ নেই।
জানা গেছে, দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে পেঁয়াজ আর রসুনের দাম। তবে কেন নিয়ন্ত্রণহীন গতিতে এ দুই পণ্যের দাম বাড়ছে তার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানাতে পারছে না পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা।
বিগত তিন মাস যাবত প্রতি সপ্তাহে ১০ টাকা হারে রসুনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মাসে নতুন দেশি রসুন বাজারে আসায় এক সপ্তাহ স্থির থাকে রসুনের দাম। তবে বাজারে দেশি রসুনের চাহিদা কম থাকায় প্রতি সপ্তাহে ১০ টাকা কিংবা তার অধিক হারে দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে বিক্রেতারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমদানি রসুনের দাম বেশি হওয়ায় কিছুটা চাহিদা বেড়েছে দেশি রসুনের। যে কারণে এ সপ্তাহে ১০ টাকা বেশি দামে প্রতি কেজি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে রসুন। আর আমদানি রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে বাজার ভেদে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। বাজারভেদে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।  
গত সপ্তাহের বাড়তি দামেই এ সপ্তাহেও বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগি (ব্রয়লার)। ফার্মের মুরগি প্রতি কেজি ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত দামে প্রতি কেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে এ সপ্তাহেও বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগি। ছোট-বড় আকার ভেদে দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি (পিস) ২০০ টাকা এবং কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা দরে।
এদিকে গরুর ও খাঁসির গোসত আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর গোসত ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৫৬০ থেকে ৫৮০ টাকা।
বাজার ও ডিমের আকার ভেদে রাজধানীর বাজারে অপরিবর্তিত দামে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৩৪ থেকে ৩৬ টাকায়, ডজন ১০০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম হালি ৪৫ টাকা, ডজন ১৩৫ টাকা। হাঁসের ডিমের হালি ৪৬ টাকা, ডজন ১৩৫ টাকা। বিগত দুই সপ্তাহ ধরে ডিমের দাম স্থির থাকলেও আগামী সপ্তাহ থেকে দাম বাড়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা।
বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে সবজির বাজার। রাজধানীর কাচাবাজারে কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, ধনেপাতা ৪০ টাকা কেজি, শালগম ২০ টাকা, বেগুন জাতভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিম প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি আলু এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা।
মাছের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে কিছু কিছু মাছের দাম। প্রতি কেজি বড় আকারের কাতল মাছের দাম ৩৬০-৪০০ টাকা, ছোট টেংরা ৪০০ টাকা, বড় টেংরা ৬০০ টাকা, বাটা ২০০-২২০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৪৮০-৫৫০ টাকা, বড় চিংড়ি ১২০০ টাকা কেজি। কৈ ২০০-২২০ টাকা, পাঙ্গাসের দাম কিছুটা বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, তবে বড় পাঙ্গাসের কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। সিলভার কার্প ১৫০-১৮০ টাকা, মাঝারি শিং মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৫০-২০০ টাকা, মাঝারি আকারের রুই ৩৫০। মাঝারি আকারের জোড়া ইলিশ ১২শ টাকা থেকে ১৫শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট পুটি মাছ কেজি ৪০০ টাকা, বোয়াল ২০০ টাকা, টাকি ২৫০ টাকা, চিতলের দাম ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গছি মাছের দাম আকাশ ছোঁয়াই রয়ে গেছে, কেজি ১২০০ টাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন