স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষাবর্ষ শুরুর সাড়ে পাঁচ মাস পর পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এতে প্রাথমিক স্তরের পাঁচটি বইয়ে ছয়টি ভুলের সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। এনসিটিবির শুদ্ধিপত্র পেয়ে তা অনুসরণে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলছেন, প্রাথমিকের বইয়ের শুধু ‘মৌলিক ভুলের’ সংশোধনী দিয়েছেন তারা, মাধ্যমিকের বইয়ে ‘মৌলিক কোনো ভুল পাওয়া যায়নি’। প্রাথমিকের যেসব ভুলের সংশোধনী দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে তৃতীয় শ্রেণির ‘আমার বাংলা বই’এর ৬৮ পৃষ্ঠায় কুসুমকুমারী দাশের ‘আদর্শ ছেলে’ কবিতাটি রয়েছে। এনসিটিবির কর্মকর্তাদের মতে, এই কবিতাতেই বড় ভুল হয়েছিল। এই কবিতায় শব্দ যেমন উল্টোপাল্টাভাবে ছাপা হয়েছে, তেমনি ভুল শব্দও ছাপা হয়েছে। সংশোধনীপত্রে পুরো কবিতাটি সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে। এতে তথ্যসূত্রও উল্লেখ করা হয়েছে। একই শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বইয়ের ৫৮ পৃষ্ঠায় ‘সায়েরা বেগম’এর নামটি সংশোধন করে ‘সায়েরা খাতুন’ (তিনি বঙ্গবন্ধুর মা) করা হয়েছে। একই শ্রেণির ইংরেজি ভার্সনের ‘হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ের পেছনের কভারে ‘ঐবধৎঃ এর পরিবর্তে ঐঁৎঃ’ করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণির ‘আমার বাংলা বই’এর ৫৩ পৃষ্ঠায় ‘মৌ’এর জায়গায় সংশোধন করে ‘মউ’ করা হয়েছে। এ ছাড়া পঞ্চম শ্রেণির ‘আমার বাংলা বই’এর তৃতীয় পৃষ্ঠায় ‘সমুদ’ বানান সংশোধন করে ‘সমুদ্র’, একই শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বই’এর দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় ‘ঘোষনা’ বানান সংশোধন করে ‘ঘোষণা’ করা হয়েছে। এনসিটিবির সদস্য রতন সিদ্দিকী বলেন, সংশ্লিষ্ট সবাইকেই এই সংশোধনীপত্র দেওয়া হচ্ছে। চলতি শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে বিভিন্ন ধরনের ভুলভ্রান্তি থাকায় এবং বর্ণ শেখাতে অসংলগ্ন উদাহরণ দেওয়ায় বিতর্কের মুখে পড়ে শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনসিটিবি। পাশাপাশি কয়েকটি পাঠ্যপুস্তক থেকে কয়েকজন প্রগতিশীল লেখকের কিছু গল্প-কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে আন্দোলন হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন