ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
১. দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে জনজীবন চরম দুর্বিষহ হয়ে উঠছে বলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিলাহ আল মাদানী। তিনি বলেন, চাল, ডাল, শিশু খাদ্য ও কাঁচা তরকারি মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। কোথাও সরকারের নিয়ন্ত্রণ আছে বলে মনে হয় না। বাজার দর বৃদ্ধিতে মানুষ অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছে। রোজা আসার আগেই যেভাবে জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বি হয়ে উঠছে এতে জনমনে চরম উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। এভাবে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকলে অল্প, মধ্য আয়ের মানুষের দুঃখ দুর্দশার কুল-কিনারা থাকবে না। তাই কঠোর হস্তে মুনাফালোভীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে কালোবাজারীদের কালো থাবা থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
সম্প্রতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর পুরানা পল্টনস্থ অফিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি একথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, আলহাজ্ব কে. জি মাওলা প্রমুখ।
তিনি বলেন, রোজাদার সাধারণ মানুষ যেন দু’বেলা পেট পুরে খেয়ে সিয়াম সাধনা করতে পারে সে ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব।
২. জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় আহবায়ক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে নৈতিক অবক্ষয়ের মূল কারণ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে বিশ্লেষণ করতে গেলে দেখা যায় আমাদের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিক শিক্ষার চরম অভাব রয়েছে। নৈতিক শিক্ষার শুরু হওয়া উচিৎ পরিবার এবং একেবারে প্রাইমারী লেভেল থেকে। কিন্তু আমাদের শিক্ষা কারিকুলাম ও শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ এমন অবস্থায় রয়েছে যে, এর আমূল সংস্কার ব্যতীত নৈতিকতার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়।
সম্প্রতি রাজধানী উত্তরার হোটেল মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত “শিক্ষাক্ষেত্রে নৈতিক অবক্ষয়: কারণ ও প্রতিকার” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অধ্যাপক ইউনুছ আলী সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রভাষক আব্দুস সবুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, উত্তরের আহবায়ক মুফতী মাছউদুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডেপুটি কন্ট্রোলার ড. মীর মনযুর মাহমুদ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের রেজিষ্টার ড. শাহ আলম, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির লেকচারার, শিক্ষাবিদ ও কলামিষ্ট শাহেদ হারুন, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আব্দুলাহ আল মাসউদ, বিজিএম ইএ ইউনিভার্সিটির লেকচারার মুহা. মিজানুর রহমান, মাসিক সংস্কারের সম্পাদক ও গবেষক ড. ইসমাঈল, এসিসস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. মহিব্বুলাহ, উত্তরা মডেল কলেজের প্রিন্সিপাল শরীফ উদ্দিন, প্রিন্সিপাল সৈয়দ মুহা. নূর হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, আইনবিদ, সমাজসেবক ও সূধীজন উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষাবিদগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, নৈতিকতার মানোন্নয়ন ব্যতীত সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে সন্ত্রাস, দূর্নীতি-দুঃশাসন ও অন্যান্য দুষ্কর্ম দূর করা সম্ভব নয়। যারা শিক্ষার ঝুলি মাথায় নিয়ে সার্টিফিকেটধারী খেতাবে ভূষিত হয়ে অফিস আদালতে চেয়ার-টেবিলে বসে ফাইল আটকিয়ে অর্থনৈতিক শোষণ, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, অফিসে দূর্নীতি, নিরাপত্তা ও রাজনীতিতে অস্বস্তি সৃষ্টি করছে, তারা বিদেশেও আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে চলছে। মাত্র ৫% দূর্নীতিবাজের জন্য ৯৫% মানুষকে এর প্রায়শ্চিত্ত ভোগ ও দূর্ণাম পোহাতে হচ্ছে। রিকশাওয়লাা, ভ্যানচালক, ফেরিওয়ালা, জুতার মুচি, নাপিতরা দূর্ণীতি করে না। বাসার বউ বাচ্চাদের জন্য দামি দামি গিফট নেয় না। দূর্নীতি করে তারাই যারা মূল্যবোধের বিপরীতে অনৈতিকতার চূড়ান্ত শিখরে উপণীত। তবে আশার আলো এই যে, এদেশের ৮৫-৯০% মানুষ আলাহর প্রতি আস্থা ও পরকালীন জীবনের প্রতি বিশ্বাস রাখে। এ কারণে সহজেই এ সমস্যা উতরানো সম্ভব। শুধু প্রয়োজন সঠিক ইচ্ছার, যথার্থ পরিকল্পনা ও ইসলামভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার। পারিপার্শি¦ক পরিবেশ, সমাজ, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির আত্মশুদ্ধি সবকিছুর জন্যই নৈতিক শিক্ষা প্রয়োজন। একমাত্র ইসলামই হতে পারে উৎকর্ষিত নৈতিকতার মানদন্ড। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন