শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সোনার হরিণ পেতে মিরপুর রণক্ষেত্র

প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৫ এএম, ৬ মার্চ, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : এশিয়া কাপের বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল খেলার টিকিট যেন সোনার হরিণ। এ টিকিটকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রাজধানীর মিরপুর এলাকা। একবার-দু’বার নয়, একাধিকবার। গতকাল সকালে টিকিট প্রত্যাশীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর বিকেলেও ঘটে একই ঘটনা। এতে অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ব্যবহার করেছে। প্রস্তুত রাখতে হয়েছে পানিকামান ও সাঁজোয়া যান। সকাল-বিকেলের এ সংঘর্ষের সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে আটক করেছে। সংঘর্ষ চলাকালে মীরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তির শিকার হন নগরবাসী। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আজ রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপের ক্রিকেটের ভারত-বাংলাদেশ ফাইনাল খেলা। ফাইনাল খেলার টিকিট পাওয়া যাবে গতকাল শনিবার জাতীয় স্টেডিয়ামসংলগ্ন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল (ইউসিবিএল) ব্যাংকের শাখায়। এ ঘোষণা দেয়া হয়েছিল ক’দিন আগেই। টিকিট প্রত্যাশীরা শুক্রবার রাত থেকেই ইউসিবিএল মিরপুর শাখার সামনে অবস্থান নেন। ভোর থেকে এ লাইন দীর্ঘ হতে থাকে। গতকাল সকালেই লাইন লম্বা হয়ে মিরপুর প্রধান সড়কের অনেকটা অংশ দখল করে। এতে মিরপুর-১০ গোলচত্বর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। লাইনে থাকা বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, সকাল ১০টার দিকে লাইনে থাকা মানুষদের ধীরে টিকিট দেয়া শুরু হয়। কিন্তু অনেকেই প্রভাব খাটিয়ে পরিচিত ব্যাংকারদের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করে। সামান্য কিছু টিকিট বিক্রির পর ব্যাংক থেকে বলা হয় টিকিট শেষ। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ ক্রিকেটপ্রেমীরা ব্যাংকে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ এসে লাইনে দাঁড়ানো টিকিট প্রত্যাশীদের লাঠিপেটা শুরু করে। বিক্ষুব্ধ ক্রীড়াপ্রেমীরা  পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।  জবাবে পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে। এ ঘটনার পর একেবারেই টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ২ নম্বরের দিকে যেতে রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে ক্রিকেটপ্রেমীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় বেশ কয়েটি গাড়ি ভাঙচুর হয়। বেলা ১টা পর্যন্ত মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ২ নম্বর পর্যন্ত রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকে। অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ৬ ঘণ্টা পর বিকেল ৫টার দিকে পুনরায় টিকিট বিক্রি শুরু হয়, কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় টিকিট কম থাকায় ফের সংষর্ষ হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন