শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

চালকের দক্ষতায় অল্পের জন্য রক্ষা পেলো সিল্কসিটি এক্সপ্রেস

প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : চালকের অসাধারণ দক্ষতায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস। শনিবার বেলা পৌনে ১টার দিকে ট্রেনটি টাঙ্গাইলের করোটিয়া স্টেশনের কাছাকাছি এলে ব্যস্ত মহাসড়কে রেলগেট খোলা থাকায় কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস রেললাইনের উপরে উঠে পড়ে। এসময় চালক ইমার্জেন্সি ব্রেক করে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন যাত্রী জানান, চালক ব্রেক না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। বাসগুলোর যাত্রীসহ ট্রেনের যাত্রীরাও হয়তো রেহাই পেতেন না। ঘটনার পর যাত্রীরা সিল্কসিটি ট্রেনের চালক (লোকোমাস্টার) মোঃ আবুল কালাম আজাদকে তার দক্ষতা ও সাহসিকতার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন। রেলওয়ের ফেসবুকে অনেকেই এই চালকের প্রশংসার পাশাপাশি রেলগেট নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির নিন্দা জানিয়েছেন। ব্যস্ত মহাসড়কের রেল গেটগুলো অরক্ষিত থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার চিত্রও উঠে এসেছে কারো কারো স্ট্যাটাসে। লোকোমাস্টার আবুল কালাম আজাদ জানান, সিগন্যাল পাওয়ার পরও গেটম্যান ব্যারিয়ার না ফেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। একটি-দু’টি করে গাড়ি পারাপার করতে করতে ট্রেন যে এসে যাবে সেটা গেটম্যান আঁচ করতে পারেনি। তিনি জানান, ট্রেনটি তখন ৭২ কিলোমিটার গতিতে ছুটছিল। রেললাইনের উপর একাধিক বাস দেখে তিনি বুঝে ফেলেন ইমার্জেন্সি ব্রেক না কষলে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে না। সহকারীকে (এ এল এম জুয়েল) তাৎক্ষণিকভাবে সতর্ক করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। ট্রেনটি রেলগেট থেকে খানিক দূরে থেমে যায়।
রেলসূত্র জানায়, রেলগেটের ব্যারিয়ার না ফেললে সিগন্যাল বাতি লাল থাকার কথা। ব্যারিয়ার পড়লে রাস্তার সিগন্যাল লাল এবং ট্রেনের সিগন্যাল হবে হলুদ। কিন্তু জন্ম থেকেই রেলগেটের সিগন্যাল বাতিগুলো বিকল। ব্যারিয়ার ফেললেও ট্রেনচালক লাল সিগন্যাল দেখেন। সিগন্যালগুলো বিকল জেনেই চালকরা ঝুঁকি নিয়েই ট্রেন চালান। একজন ট্রেনচালক বলেন, চলার পথে এত বেশি রেলগেট যে গতি কমিয়ে চলার মতো অবস্থাও থাকে না।
এদিকে, এল এম মো: আবুল কালাম আজাদের সাহসিকতার চিত্র ফুটে উঠেছে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের ফেসবুক পেজে। একজন লিখেছেন, ‘চালকের দক্ষতার জন্য অল্পের জন্য রক্ষা পেল ৭৫৪ ডাউন সিল্কসিটি এক্সপ্রেস। বেঁচে গেল শত প্রাণ। ট্রেন লেট করলে বা ধীরে চললে আমরা অনেকেই বুঝে না বুঝে একতরফা শুধুই ট্রেনের চালক (এলএম) ও তার সহকারী (এএলএম)-কে গালি দিই। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি কি বিশাল দায়িত্ব ঘাড়ে নিয়ে রাত-বিরাতে বিরামহীন ছুটে চলেন তারা? কখনো কি ভেবেছি তাদের সুখ-দুঃখের জীবনের কথা? কখনো কি তাদের মানবিক দায়িত্ববোধের তারিফ করেছি আমরা?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘মিডিয়া শুধু দুর্ঘটনা ঘটলেই ঢোল বাজায়। কিন্তু সত্যিকারের নায়ক যারা দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করে জান-মাল, তারা রয়ে যান অগোচরে। কিন্তু আমরা রেলফ্যানরা এই মহতী কাজের জন্য শ্রদ্ধাভাজন এলএম আজাদ সাহেব এবং তার সুযোগ্য সহকারী এএলএম

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
আনিসুর রহমান আনিস ৭ মার্চ, ২০২০, ৩:৪০ পিএম says : 0
আমি সুদু এ টুকু বলতে চাই আমরা গেইট মেন গোলু অনেক কষ্ট করে রাত দিন পরিস্রম করি কিন্তু আমাদের অনেক অনেক গেইট এ কোনো সিগন্যাল ব্যাবস্তা নাই যেমন ইঞ্জিনিয়ার গেইট এ কোনো ট্রেনে আসার সংকেত পাই না . আপনার মাদ্দমে গেইট এ ট্রেনে আসার জোরালো দাবি জানাই .
Total Reply(0)
আনিসুর রহমান আনিস ৭ মার্চ, ২০২০, ৩:৪০ পিএম says : 0
আমি সুদু এ টুকু বলতে চাই আমরা গেইট মেন গোলু অনেক কষ্ট করে রাত দিন পরিস্রম করি কিন্তু আমাদের অনেক অনেক গেইট এ কোনো সিগন্যাল ব্যাবস্তা নাই যেমন ইঞ্জিনিয়ার গেইট এ কোনো ট্রেনে আসার সংকেত পাই না . আপনার মাদ্দমে গেইট এ ট্রেনে আসার জোরালো দাবি জানাই .
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন