স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির চেয়ারম্যান (চেয়ারপার্সন) পদে বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে তারেক রহমান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার সময় শেষ হওয়ায় গতকাল বিকেলে দলটির এ শীর্ষ দুই পদে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। দলের পক্ষ থেকে নিযুক্ত নির্বাচনী কর্মকর্তারা এ ঘোষণা দেন। নির্বাচিতরা আগামী তিন বছর এই দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় দুই শীর্ষ নেতাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ২০ দলীয় জোটের শরিকসহ বিএনপির অঙ্গ, সহযোগী ও সমর্থক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
গতকাল বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।
ফলাফল ঘোষণা করে তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য যথাক্রমে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান একক বৈধ প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচন কমিশন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যথাক্রমে চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে আগামী ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত ঘোষণা করছে।
জমির উদ্দিন সরকার জানান, নির্বাচনের এই ফলাফল দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আগামী ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলে পেশ করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অত্যন্ত স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়া গণমাধ্যমের সামনে হয়েছে।
এ সময় তার পাশে রিটার্নিং অফিসার দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও সদস্য হারুন আল রশিদ, খালেদা জিয়ার নির্বাচনী এজেন্ট দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ও তারেক রহমানের নির্বাচনী এজেন্ট যুগ্ম মহাসচিব মো: শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন সংগঠনের অভিনন্দন : বিএনপি শরিক দল জাগপা, খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), যুবদল, শ্রমিক দল, ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ পৃথক বিবৃতিতে এই অভিনন্দন জানান।
১৬ মার্চ থেকে কাউন্সিলর কার্ড বিতরণ শুরু
এদিকে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহম্মেদ জানান, আগামী ১৬ মার্চ থেকে কাউন্সিলর কার্ড বিতরণ শুরু করবে বিএনপি।
তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব স্বাক্ষরে কাউন্সিলরদের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছি। সেই নোটিশে আগামী ১৬ মার্চ থেকে কাউন্সিলরদের কাউন্সিলর কার্ড দেয়া শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। নয়াপল্টনের কার্যালয় থেকে কাউন্সিলররা এই কার্ড সংগ্রহ করবেন।
বিএনপির সাংগঠিক জেলা ৭৫টি। স্থায়ী কমিটি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, ৭৫টি সাংগঠনিক জেলা-মহানগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা, থানা ও পৌরসভা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ১১ অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ জাতীয় কাউন্সিলের ‘কাউন্সিলর’ হয়েছেন।
রাজধানীতে কাউন্সিল উপলক্ষে প্রচার সম্পর্কে রিজভী বলেন, প্রচারের অনুমতি চেয়ে রাজধানীর দুই মেয়রকে আমরা চিঠি দিয়েছিলাম। রাস্তার মাঝে বিভাজন, সড়ক দ্বীপ এবং লাইটপোস্ট আমাদের প্রচারের জন্য ব্যবহার করার জন্য। সেক্ষেত্রে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র আনিসুল হক সাহেব ইতিবাচক চিঠি দিয়েছেন। এজন্য আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি, ঢাকা দক্ষিণের মেয়রও আমাদেরকে ইতিবাচক চিঠি দিয়ে সহযোগিতা করবেন যাতে দেশের বৃহত্তম দলের জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে প্রচারে আমাদের বক্তব্য সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারি।
আগামী ১৯ মার্চ ইহ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল হবে। ২০০৯ সালে ৮ ডিসেম্বর দলের সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন