বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

ইসলামী কর্মতৎপরতা: স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাঁশখালীর পুকুরিয়ার প্রখ্যাত বুজুর্গ অলিয়ে কামেল আল্লামা সুলতান শাহ (রহ.)-এর বার্ষিক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল গত ২২ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে পুকুরিয়া খন্দকারপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়। ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাওলানা আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামী। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন- চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ পুলিশ লাইন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হাফেজ মনসুরুল হক জিহাদী। বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম পতেঙ্গা হযরত খিজির (আ.) জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হাফেজ রুহুল্লাহ, পুকুরিয়া মাদরাসার প্রধান পরিচালক আল্লামা নুর আহমদ, মুরাদপুর মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন, পটিয়ার মাওলানা বেলাল উদ্দিন, পুকুরিয়া মাদরাসার মাওলানা হাফেজ শওকত আলী, শাহ সাহেব হুজুরের সন্তান আবদুর রহিম, সংগঠনের সেক্রেটারি হাফেজ মোহাম্মদ ফারুক, শাহ সাহেব হুজুরের দৌহিত্র হাফেজ নেজাম উদ্দিন সুলতানী, এসএম জসিম উদ্দিন প্রমুখ। পরে আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল শেষ হয়।
ছাত্র ও শ্রমিক সমাবেশ
আমিরুল মুজাহিদীন হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, সমাজ ও মানবতা যখন পাপাচার ও গোনাহের অন্ধকারে ডুবে যায় তখনই যুগে যুগে নবী-রাসূলদের পাঠিয়ে আল্লাহ মানুষদের হেদায়াত ও আলোর পথ দেখিয়েছেন। শেষ যুগে মহানবী বিশ্বনবী আকায়ে নামদার হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা.)-এর আর কোনো নবী আগমন করবেন না। আজকে মহানবী (সা.)-এর অবর্তমানে তাঁর পবিত্র দায়িত্ব ও উত্তরসূরির ভূমিকা রাখছেন হক্কানি পীর-মাশায়েখ ও ওলামায়ে কেরাম। সোনার ও বিশুদ্ধচারী মানুষ হিসেবে তৈরি হতে হলে হক্কানি পীর-মাশায়েখ ও ওলামায়ের কেরামের সান্নিধ্য লাভ করে মহান আল্লাহ তায়ালার প্রকৃত সন্ধান এবং রাসূলের জীবনাদর্শের অনুসরণ করতে হবে। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ জাম্মুরি মাঠে তিন দিনব্যাপী (২৮, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি) বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকিরের উদ্বোধনী বয়ানে আমীরুর মুজাহিদীন হযরত মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন।
পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ ও মানুষের স্বভাববান্ধব জীবনব্যবস্থা। ইসলামে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রসহ বিশ্বমানবতার চারিত্রিক, অবকাঠামো ও প্রাযুক্তিক উন্নয়নের দিকনির্দেশনা রয়েছে। ইসলাম রাষ্ট্রীয় আদর্শ হিসেবেও ন্যায়-ইনসাফ ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে। সমাজে ইসলামী জীবনাদর্শের বাস্তব অনুসরণ করা হলে সমাজ থেকে সকল পাপাচার, অন্যায়, অসত্য, দুর্নীতি দূর হয়ে একটি পরিশুদ্ধ মানবদরদি ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে।
গত ২৮ জানুয়ারি থেকে আর্থ-সামাজিক আধ্যাত্মিক ধর্মীয় সংগঠন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির উদ্যোগে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ জাম্মুরি মাঠে তিন দিনব্যাপী ঐতিহাসিক চরমোনাই বার্ষিক মাহফিলের নমুনায় বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির শুরু হয়েছে। চরমোনাই মাহফিলের ঐতিহ্য অনুসারে এই মাহফিলের প্রথম দিবসে মারিফত, দ্বিতীয় দিন শরিয়ত এবং তৃতীয় দিন আর্থ-সামাজিক বিষয়ে পীর সাহেব চরমোনাইসহ দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম বয়ান পেশ করবেন। মাহফিলে প্রধান অতিথি পীর সাহেব চরমোনাই ফজর ও মাগরিবের পর দিনে দুটো করে মোট সাতটি বয়ান পেশ করবেন ইনশাআল্লাহ। এবারের মাহফিলেও অন্যান্যবারের মতো পর্দানশীন মা-বোনদের জন্য পর্দাসহকারে ওয়াজ ও নসিহত শোনার জন্য পৃথক বিশাল প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে ২৯ জানুয়ারি সকাল ৮টায় মাহফিলের মাঠ সংলগ্ন অস্থায়ী হলরুমে ছাত্রসমাবেশ এবং সকাল ১০টায় কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন